31 C
Dhaka
রবিবার, অক্টোবর ৬, ২০২৪
spot_imgspot_img

উড়তে থাকা শেয়ারবাজারে ছন্দপতন

সরকার পতনের পর একবার উড়ন্ত অবস্থায় ছিল দেশের শেয়ারবাজার। মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে দৈনিক লেনদেন ২০০ কোটি টাকা থেকে ২ হাজার কোটিতে উন্নীত হয়। এর মধ্যে সাইডলাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগ নিয়ে আসে। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতনে সেই ইতিবাচক চিত্র বেশিদিন দেখতে পায়নি বিনিয়োগকারীরা।

বিভিন্ন ইস্যুর মধ্যে প্রধানত ৪ কারণে বর্তমান শেয়ারবাজারের এমন অবস্থা হয়েছে। এর মধ্যে বাজারের ইতিবাচক ধারার সুযোগে আইসিবি’র অতিরিক্ত শেয়ার বিক্রি করা, কারসাজি চক্র ধরা পড়ার আতঙ্কে শেয়ার ছেড়ে দেওয়া, ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীপন্থী চেয়ারম্যান-পরিচালকদের পদত্যাগ করা, বেক্সিমকো-ওরিয়ন গ্রুপের অনিশ্চিত ভবিষ্যত আতঙ্ক ইত্যাদি কারণে অস্থিতিশীল আচরণ করছে দেশের শেয়ারবাজার।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত বাজার সম্ভাবনা নিয়ে নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছেন শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: ছায়েদুর রহমান। তিনি জানান, সরকার পতনের পর চতুর্দিকে একধরণের হুলস্থুল পরিবেশ তৈরি হয়। বুঝে-না বুঝেই বাজারে সূচক বানের পানির মতো বাড়তে থাকে। তবে তা বেশিদিন টিকেনি। এর মধ্যে বিএসইসিতে চেয়ারম্যান নিয়োগ ইস্যুর একটি জটিলতা কাজ করেছে। তবে যেহেতু সরকার নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে; তার নেতৃত্বে আগের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের পুঁজিবাজার অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, আজ ২০ আগস্ট, ২০২৪ তারিখ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১.০৪ শতাংশ বা ৬০.১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭১৫.৩৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৬.৪৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২২৯.৬৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ২৭.৮৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৯৩.২৬ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৪ টির, কমেছে ৩০১ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২ টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ১৬.১২ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ১৫ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার ২৮৪টি শেয়ার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭০৯ বার হাতবদল হয়েছে। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৫১৮ কোটি ৬১ লাখ ৬ হাজার টাকা।

গত কার্যদিবসে অর্থাৎ ১৯ আগস্ট ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.০৫ শতাংশ বা ৩.১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ৫ হাজার ৭৭৫.৪৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে ১ হাজার ২৪৬.১৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৫.৪৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ২ হাজার ১২১.১৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৬ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছিল ১১৯ টির, কমেছিল ২৪৭ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছিল ৩০ টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে গত কার্যদিবসে ৩০.০৫ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছিল। সারাদিনে ডিএসইতে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ৫টি শেয়ার ১ লাখ ৭২ হাজার ২৯৭ বার হাতবদল হয়েছিল। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছিল ৮০৭ কোটি ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকা।

সে হিসেবে আজ লেনদেন কমেছে ২৮৮ কোটি ৫৪ লাখ ৬ হাজার টাকা।

এদিকে আজ দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ১.১১ শতাংশ বা ১৮৫.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ১৬ হাজার ৪৩০.২১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২১৫ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৯ টির, কমেছে ১৫৩ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩ টির। আজ দিন শেষে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ১ হাজার ৯৬৫ টাকা।

spot_img
spot_img

আরও পড়ুন

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন