রাজধানীর উত্তরখান মাজার বাঁশতলায় বুধবার দিবাগত গভীর রাতে একটি টিনসেড বাসায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ দম্পতি দুই জনেরই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় বার্ণ ও প্লাসটিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে স্বামী স্ত্রী ২ জনের মৃত্যু হয়েছে । নিহতরা হলেন ময়নাল ও আনোয়ারা।
ডিএমপির উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান নাগরিক টিভিকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ারা ও রাতে ময়নালের বার্ণ ইইন্সটিটিউটে মৃত্যু হয়।
জানা যায়, সিটি কর্পোরেশনের ঠিকাদারের ভুলে ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে আগুনে পুড়ে অসহ্য যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে নিরীহ এই দম্পতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। মৃত এই দম্পতির রয়েছে এক পুত্র ও এক কণ্যা সন্তান। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর।

গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পরে উত্তরখান বাঁশ তলায় গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। উত্তরখানের ভুঁইয়াবাড়ি বাঁশতলা এলাকায় রাস্তার পাশে একটি টিনসেড রুমে থাকতো ওই দম্পতি। ময়নাল রিকশা চালাতেন এবং আনোয়ারা গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাদের রুমের পাশ দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সুয়ারারেজ লাইন নির্মানের কাজ করছিলো। স্থানীয়রা বলছেন, কাজের সময় গ্যাসের পাইপ ফেঁটে যাওয়া লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে যায় । ঔ সময় রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে মশার কয়েল ধরাতে গেলে এ দূর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই তিতাসের লোক এসে গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দেয়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন বলেন, এ সড়কে যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করছে এখানে তার যথেষ্ট অবহেলা রয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকায় রয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর এসব বাড়ি ঘর ও লোকজন চলাচলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না করেই অপরিকল্পিত ভাবে সড়ক খুঁড়াখুঁড়ি করেন তারা।
মাটি কাঁটার ভেকুর আঘাতে ফেঁটে যাওয়া গ্যাস পাইপ ঠিক না করেই এটিকে পলিথিন দিয়ে পেঁচিয়ে রাখেন। এর ফলে ফেঁটে যাওয়া পাইপ থেকে গ্যাস বের হয়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে। ঠিকাদারের অবহেলায় আগুনে পুড়ে নিরীহ দম্পতির মৃত্যুর ঘটনায় তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।