১৪/০৬/২০২৫, ১৬:৩৯ অপরাহ্ণ
34.6 C
Dhaka
১৪/০৬/২০২৫, ১৬:৩৯ অপরাহ্ণ

উত্তরায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেলো বাইকার

পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে বড়ধরণের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলো মহিদুল ইসলাম নামের এক বাইকার। আজ ১৬ মে শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে বিমানবন্দর মহাসড়কে মর্মান্তিক এই দূর্ঘটনা ঘটে। এ সময় উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মালবাহী পিক-আপের চাপায় মোটরসাইকেলটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পিক-আপ চালকের বুদ্ধিমত্তায় প্রাণে বেঁচে যান বাইক চালক।

মোটরসাইকেল চালক মহিদুল ইসলাম একজন সরকারি চাকুরীজীবী। তিনি বলেন, জরুরী কাজ শেষে বাইক চালিয়ে দক্ষিন খানের নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন, এমন সময় বিমানবন্দর মহাসড়ক জসিম উদ্দিন র‍্যাব-১ কার্যালয়ের উল্টো পাশের রাস্তায় একজন পথচারী দৌড়াতে দৌড়াতে তার মোটর সাইকেলের সামনে এসে গেলে ওই পথচারীকে বাঁচাতে তিনি হার্ড ব্রেক করেন। হার্ড ব্রেকের কারণে তিনি বাইক থেকে সড়কে ছিটকে পড়েন। এমন সময় পিছন থেকে আশা মালবাহী একটি পিকআপ তাকে বাঁচাতে গিয়ে সড়কে পরে থাকা তার বাইকের উপরে পিক-আপটি তুলে দেন। এতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।


সেখানে উপস্থিত কয়েকজন পথচারী বলেন, দোষ না থাকলেও ভয়ে পিক-আপ ড্রাইভার পালিয়ে যান। এ ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো, হঠাৎ দেখতে পায় একজন লোক সড়কের মাঝখান দিয়ে জোরে দৌড় মারেন। দৌড় মারা ঐ পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মোটর সাইকেল হার্ড ব্রেক করার কারণে তিনি গাড়িসহ সড়কে সিটকে পরেন। পিক-আপ চালকের কোন দোষ ছিলো না। বরং পিক-আপ ড্রাইভারের অভিজ্ঞতার কারণে মোটরসাইকেল চালক প্রাণে বেঁচে যায়।

দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ট্রাফিক পুলিশের সদস্য ও বিমানবন্দর থানার পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ক্রেন নিয়ে এসে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।

ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নোমান নাগরিক টেলিভিশনকে বলেন, বাইক চালকের কোন ধরনের অভিযোগ না থাকায় মোটরসাইকেলের মালিক ও পিক-আপ ড্রাইভারের লোকজনের সাথে কথা বলে রেকার বিল পরিশোধের মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করে দেন।

পড়ুন : উত্তরায় ট্রাকের ধাক্কায় নাঈম নামে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন