বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল কমে আসায়, উত্তরের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনও কিছু পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপরে রয়েছে। দুর্ভোগ বেড়েছে পানিবন্দি মানুষের। এদিকে, অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি।
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টিপাত কিছুটা কমলেও, এখনও টাঙ্গাইলে ৩ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। জেলার ৬ উপজেলায় ১০৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, হাট-বাজার ও ফসলি জমি। অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
কুড়িগ্রামে এখনও তলিয়ে আছে সবজি ও আমন বীজতলা। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে আছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপৎসীমার উপরে। পানিতে নিমজ্জিত আবাদি জমির ফসল।
জামালপুরের ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও বকশিগঞ্জ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে আছে।
এদিকে, দুইদফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সুনামগঞ্জের পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। তবে দূর্ভোগ এখনও কাটেনি। গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমেছে।
একই পরিস্থিতি সিলেটের। বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে বেড়েছে পানিবাহীত নানান রোগের প্রকোপ।