দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সিলেটে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে, শনিবার থেকে বৃষ্টিপাত কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। যেখানে উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফসলি জমি। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান।
উত্তরের আরেক জেলা গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে গাইবান্ধার চার উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।
টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার উপরে। জেলার ভুঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রাম নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত কয়েক দিন ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পাশাপাশি জেলার কয়েকটি অংশে যমুনার পাড়ে রয়েছে তীব্র ভাঙন।
ভারতের বরাক নদী দিয়ে নেমে আসা ঢলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাকবলিত মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামীকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে আসবে।
তবে আজ সারাদেশে বৃষ্টি হবে। কিছু কিছু জেলায় ভারী বর্ষণেরও সম্ভাবনা রয়েছে।