নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও পানিবন্দি নিম্ন ও চরাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। এদিকে, পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায়, প্লাবিত হয়েছে ফরিদপুর রাজবাড়ীর নিম্নাঞ্চল।
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায়, জেলার উজানে নাগেশ্বরী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বাড়িঘর থেকে পানি নামছে। দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি কমে বিপদসীমার নিচে নামলেও, ব্রহ্মপুত্রের তিন পয়েন্টে এখনও ওপরেই আছে।
টানা ১২ দিন ধরে পানিবন্দি জীবনযাপন করছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। বন্যার পানি কিছুটা কমলেও দূর্ভোগের ক্ষত কাটেনি। রাস্তা ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জের দুইটি পয়েন্টেই কমতে শুরু করেছে যমুনার পানি। এতে জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে আছে। জেলার ৫ উপজেলার ৩৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।
টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা, ঝিনাইদহ এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি কমেছে। এছাড়া ফটিকজানি ও বংশাই নদীর পানি বাড়লেও, বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও ভোগান্তীতে আছেন পানিবন্দি মানুষ।
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও, প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। এখনও পানিবন্দি নিম্ন ও চরাঞ্চলের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। সড়কে পানি থাকায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ।
এদিকে, নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় সুনামগঞ্জে কমতে শুরু করেছে সুরমার পানি। শহর থেকে পানি নেমে গেলেও, হাওরাঞ্চলে অপরিবর্তিত রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। একই পরিস্থিতি সিলেটের। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বন্যা কবলিত ১৩টি উপজেলা থেকেই পানি নামতে শুরু করেছে।