বাংলাদেশকে সিরিজ হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগেই বার্তা দিয়েছিলেন এবারের বিশ্বকাপে তারা চমক দেখাবে। সাত দেশের ক্রিকেটার নিয়ে গড়া সেই দলটা ঠিকি চমক দেখালো। নিজেদের মাটিতে উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে হারালো সাত উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামনে লক্ষ্যটা সহজ ছিলনা। কানাডার দেয়া ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় স্বাগতিকদের শুরুটা হয় হতাশার। উদ্বোধনী জুটিতে একটি রানও তুলতে পারেননি মোনাক প্যাটেল ও স্টিভেন টেলর।
তবে কে জানতো আসল চমকটা দেখাবে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার আন্দ্রিস গুজ ও অ্যারন জোনস। তাদের সামনে যেন কচুকাটা হলো কানাডার বোলররা।
৪২ রানে যখন ২ উইকেট নেই। তখনি ৫৮ বলে ১৩১ রানের বিশাল জুটি গড়লেন এই দুই ব্যাটার। গুজ ৪৬ বলে ৬৫ রানে আউট হলেও কাজের কাজটা করে দিয়ে গেছেন ঠিকি। বাকি কাজটি সারেন অ্যারন জোনস।
মাত্র ছয় রানের জন্য সেঞ্চুরি থেকে দূরে থাকেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪০ বলে ৯৪ রানের চোখ ধাধানো ইনিংস খেলেন জোনস । তার ইনিংস সাজানো ছিল দশটি ছক্কা এবং চারটি চারে। আর ১৪ বল হাতে রেখেই শুভ সূচনা করে আয়োজক দেশটি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিশ্বকাপের প্রথম বলেই ছিল চারের মার। দুই ওপেনার অ্যারন জনসন এবং নাভনিত ধালিওয়াল শুরু থেকেই চড়াও হন যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের ওপর। রিতিমত ঝড় তোলেন কানাডার এই দুই ওপেনার।
উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৩ রান। অ্যারন জনসন করেন ১৬ বলে ২৩ রান। এরমধ্যে চারই মেরেছেন পাচটি। জনসন ফিরে গেলে অপরপাশ সামলে রাখেন আরেক ওপেনার নাভনিত ধালিওয়াল।
প্রগত সিং এসে ভরসা দিতে পারেননি। তবে চারে নামা নিকোলাস কির্তন যেন বদলে দিলেন পুরো পরিবেশ। নভোনীত শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। তাতে বাড়তি হাওয়া দিয়েছেন কির্তন। দুজনের ৬.১ ওভারের জুটি থেকে এসেছে ৬২ রান।
নভোনীত তুলে নিয়েছেন এবারের আসরের প্রথম ফিফটি। ৬১ রানের ইনিংসে ছিল ৬ চার আর ৩ ছক্কার মার। ১২৮ রানে তিনি ফিরে গেলেও কির্তন ছিলেন অবিচল। ৩০ বলেই ফিফটি তুলে নেন। দলকে পৌঁছে দেন শক্ত অবস্থানে। যদিও ৫১ রানেই থামতে হয় তাকে।
কির্তনের আউটের পরেই খানিকটা ধাক্কা খায় কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রও আশা পায় ম্যাচে ফেরার। কিন্তু শেষ দুই ওভারে ৩৫ রান নিয়ে ম্যাচটাকে আবারও নিজেদের করে নেন শ্রেয়াশ মোভা এবং দিলপ্রীত বাজওয়া। শ্রেয়াশ খেলেছেন ১৬ বলে ৩২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। আর বাজওয়া উপহার দিয়েছেন ৫ বলে ১১ রানের ক্যামিও। তাতেই ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড়ায় কানাডার।