হাসিনা সরকারের পতনের পর স্বেচ্ছায় পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে সরকারি দপ্তর ও নানা সংস্থায়। আবার অনেককে বাধ্যতামূলক অবসরেও পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। এমন পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও, পদত্যাগের জন্য ওপর মহলের সিগন্যালের অপেক্ষায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
২০২২ এর ফেব্রুয়ারীতে আউয়াল কমিশন গঠন হয়। শেখ হাসিনা সরকারের অনুগত এই কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষনা দেয় বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধীরা। আউয়াল কমিশন নানা কায়দা কানুন করেও, সকল স্থানীয় সরকার ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারি অফিসসহ নানা সংস্থায় পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বেশিরভাগ দপ্তর থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিল করা হয়। এই অবস্থায় গত ১২ আগস্ট এক জরুরি বৈঠকে পদত্যাগের মানসিক প্রস্তুতি রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
এর মধ্যেই ছাত্র-জনতা সিইসিসহ কমিশনারদের পদত্যাগ চেয়ে ইসি ভবনের সামনে একাধিক ব্যানার টানিয়েছে। সরকার পতন আন্দোলনে নেতৃত্বে থাকারাও কমিশন পরিবর্তন চাইছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেশ অস্বস্তিতে ভুগছেন বিগত সরকারের আমলে সার্চ কমিটি সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া বর্তমান নির্বাচন কমিশন। কমিশন কোনো অবস্থায় যেন হেনস্তার শিকার না হয়, সে বিষয়টিকেই তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কমিশনে পরিবর্তন আনতে রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। রাষ্ট্রপতি অপসারণের ব্যবস্থা নিতে পারবেন সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের প্রস্তাবের ভিত্তিতে। যেহেতু সংসদ নেই, তাই নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছায় পদত্যাগই হতে পারে বিকল্প পথ, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।