39.8 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫

ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে আইএফআইসি ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেখিয়ে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে। এই অভিযোগে ব্যাংকটির দুই ডিএমডি (ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর) সহ মোট চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।

আইএফআইসি ব্যাংকের ডিএমডি ইকবাল পারভেজ চৌধুরী, শাহ মো. মইন উদ্দিন, কর্পোরেট শাখার ম্যানেজার মো. ওয়াসীম আলম এবং প্রিন্সিপাল শাখার রিলেশনশিপ ম্যানেজার তাসলিমা আক্তারকে এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন হিসেবে দুদক অনুসন্ধান করছে।

দুদক জানায়, এই ঋণ জালিয়াতির ঘটনা মূলত ফেডারেশন শাখা ও প্রিন্সিপাল শাখার গ্রাহকগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত।

এদের মধ্যে রয়েছে এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, গ্লোয়িং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, ভিস্তা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও স্কাইমার্ক ইন্টারন্যাশনাল। এই প্রতিষ্ঠানগুলো নামে বড় অঙ্কের অর্থ তুলে নেয়ার পর তা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ৪ মার্চ দুদক অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের তলব করে চিঠি পাঠিয়েছিল। ওই চিঠিতে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টের কপি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টিম এই আত্মসাতের প্রকৃত রহস্য বের করতে কাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে বিপুল অঙ্কের টাকা তুলে নেয়া হয়েছে, যা ব্যাংকিং সিস্টেমের জন্য একটি বড় ধরনের সংকটের সৃষ্টি করেছে।

আইএফআইসি ব্যাংক থেকে এইজালিয়াতির ঘটনার তদন্ত দুদকের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তদন্তকারীরা আশা করছেন, এই জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে তারা দ্রুততম সময়ে ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে পারবেন।

এছাড়া, এই ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে, তা জানার জন্য অন্যান্য ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও ব্যাংকিং খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

পড়ুন: ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০% হলে লভ্যাংশ নয়

দেখুন: ঋণ কে চিরতরে না বললেন দিনমজুর |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন