২১/০৬/২০২৫, ২৩:২০ অপরাহ্ণ
28 C
Dhaka
২১/০৬/২০২৫, ২৩:২০ অপরাহ্ণ

একদিনে ২৩ সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের হুশিয়ারি

চাকরির পরীক্ষাগুলো শুক্রবারকেন্দ্রিক হওয়ায় একদিনেই একাধিক পরীক্ষার সময়সূচি পড়ে যায়। তবে আগামী শুক্রবার (২৩ মে) ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) নিয়োগ পরীক্ষাসহ ২৩টি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা পড়েছে একই সময়ে। এতে মহাবিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চাকরিপ্রার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন’। প্ল্যাটফর্মটি বলছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাদের সঙ্গে ‘তামাশা’ করার শামিল। ‘চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতি ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শন করাই এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে’- বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সোমবার (১৯ মে) বিকেলে পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের দপ্তর সংগঠক আওরঙ্গজেবের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৩ মে দেশের বিভিন্ন নিয়োগকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান একযোগে ২৩টি চাকরির পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে দেশের লক্ষাধিক চাকরিপ্রার্থী মারাত্মক সংকটে পড়েছেন। চাকরিপ্রার্থীরা এখন বিভ্রান্ত ও হতাশ। তারা কোন পরীক্ষায় অংশ নেবেন, আর কোনটি বেছে নিতে হবে; তা নিয়ে মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন।

‘প্রতিটি পরীক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একই দিনে একাধিক পরীক্ষার আয়োজন করাটা তাদের প্রতি চরম অবিচার ও উদাসীনতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা বিগত সরকারের আমলে এটি লক্ষ্য করতাম, যেন তাদের ছত্রছায়ায় থাকা শিক্ষার্থীরাই শুধু চাকরি পায়। প্রকৃত মেধাকে মূল্যায়ন করা হতো না।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি ন্যায্য আচরণের প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় একের পর এক অব্যবস্থাপনা ও তামাশার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই, পরীক্ষার তারিখ পুনর্বিন্যাস করে যেন পরীক্ষার্থীরা প্রত্যেকটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন; সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে এমন অবিচার আর বরদাশত করা হবে না।’

পড়ুন : সরকারি চাকরি: পৌনে ৫ লাখ শূন্য পদ পূরণে চিঠি

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন