বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশোধিত এক্সিট পলিসিকে অকার্যকর ও দায়সারা মনে করেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, কোন শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার দায়ের ৫ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে দিয়ে এক্সিট নেয়া সম্ভব হবে না। এই পলিসি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী ও অর্থপাচারকারীদের সুযোগ করে দিব বলেও অভিমত কোনো ব্যবসায়ীর।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের জুলাইয়ে একটি এক্সিট পলিসি দেয় রুগ্ন ব্যবসা, শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য। ব্যাংকের মোট দায়ের ১০ শতাংশ জমা দিয়ে, ২ কিংবা ৩ বছরে দায়মুক্তির সুযোগ রাখা হয় নীতিতে। যদিও, আরোপিত শর্ত, পরিপালন বাস্তবসম্মত নয়, বলে সমালোচনা তখন থেকেই।
প্রায় দুই যুগ আগে, পৌনে তিনশ কারখানা রুগ্ন হিসেবে চিহিৃত হয় কেবল পোশাক খাতে। আজো পুরোপুরি মীমাংসা হয়নি, রুগ্ন কোম্পানীগুলোর এক্সিট। চিঠি চালাচালি আর সিদ্ধান্ত এ টেবিল, ও টেবিল করছে এখনো। আর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্ত-পরিবার বহন করছে যন্ত্রণা।
বাংলাদেশে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করে ঝুকি নিয়ে, ব্যবসা করেন, অর্থনীতিতে অবদান রাখেন। এসব সবার জানা থাকলেও, নিয়ন্ত্রণ বহিভূর্ত কারণে ব্যবসা রুগ্ন হলে, যে তা কেবল মালিকের গলার কাটা। ব্যাংক, কর্মী সবাই যেন চেপে ধরেন তখন।
বাংলাদেশ ব্যাংক, নতুন করে তার এক্সিট পলিসি হালনাগাদ করেছে। বলছে, মোট দায়ের ১০ শতাংশ নয়, ৫ শতাংশ জমা দিয়ে এক্সিট আবেদন করা যাবে। ব্যবসায়ীরা বলছে, হালনাগাদ নীতিও কাযকর হবে না, সুযোগ পাবেন না দূর্বলরা।
ব্যবসায়ীরা বলছে, এসএমইর দিকে মনোযোগ নেই এক্সিট পলিসিতে। কয়েক দফা বৈঠকে বিষয়টি নজরেও আনে ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি ছিলো, ছোটরা ১ শতাংশ আর বড় কারখানা ২ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে যাতে বেরিয়ে যেতে পারে ব্যবসা থেকে। কিন্তু আমলেও নেয়া হয়নি সুপারিশ।
জানা গেছে, বিগত এক বছরে কেবল পোশাক খাতেই রুগ্ন হয়েছে ১০০ বেশির কারখানা। এই খাতে এক সময় ৭ হাজার কারখানা থাকলেও, এখন সচল কারখানা ৩ হাজারের বেশি নয়। কিন্তু শর্তের কড়াকাড়িতে, ব্যাংক ফেরত পাচ্ছে না অর্থ, আর উদ্যোক্তা ও তার পরিবার বহন করছে ঋণের দায়।
এনএ/