এক বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি প্রাকটিস নির্দেশনা। দেশে কিংবা দেশের বাইরে থেকে অডিও ভিডিও’র মাধ্যমে বিচারকাজে অংশ নেয়া যাবে। সুপ্রিমকোর্টের এমন নির্দেশনা বিগত এক বছরে বাস্তবায়ন হয়নি একটি মামলাতেও। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অবকাঠামো সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এ নির্দেশনা। তবে বাস্তবায়ন হলে কমবে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা।
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই বদলে যাওয়ার ঢেউ লেগেছে দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে। পিছিয়ে নেই বিচার বিভাগের কার্যক্রমও।
দেশে বর্তমান ৩৭ লাখ ১২ হাজারের অধিক মামলা বিচারাধীন। এ সব মামলায় বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি ও মামলার জট কমাতে ২০২৩ সালের ২০ শে আগষ্ট প্রধান বিচারপতি তথ্য প্রযুক্তি আইনের ক্ষমতাবলে প্রাকটিস নির্দেশনা জারি করেন দেশের বিচারিক কার্যক্রমে।

এ নির্দেশনা অনুসারে বিদেশ কিংবা দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে মামলায় হাজিরা,সাক্ষ্য গ্রহন ও শুনানি সহ বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন আইনজীবী, সাক্ষী,অভিযুক্ত ব্যক্তি ও মামলায় সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যক্তি।
তবে দেশের অবকাঠামো বিবেচনায় বর্তমানে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে জানান, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার।
প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রয়োজন নেই বলেই ব্যবহার নেই, তবে বাস্তবায়ন হলে কমবে মামলার জট, গতি আসবে বিচারকাজে ও স্বস্তি ফিরবে বিচারপ্রার্থীর মনে এমনটা জানান সুপ্রিমকোর্টের আরেক সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

তবে শুধু কাগজে কলমে নয় ভোগান্তি এড়াতে ও মামলার জট কমাতে বাস্তবে প্রাকটিস নির্দেশনার বাস্তবায়ন চান মামলা সংশ্লিষ্টরা।
টিএ/