বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই। সকাল ৮টার দিকে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এটিএম শামসুজ্জামানের প্রয়ানে শোকের ছায়া সংস্কৃতি অঙ্গনে। বাদ জোহর জানাজা শেষে গুণী এই অভিনেতাকে দাফন করার কথা রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে।
এটিএম শামসুজ্জামান। একজীবনে যিনি সবটাই ঢেলে দিয়েছিলেন সাদা কালো আর রঙিন পর্দায়। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ছিলেন অভিনেতা আর চিত্রনাট্যকার হয়ে। পেয়েছেন একুশে পদক, পাঁচ বার মিলেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জনের গৌরব।
কিশোর থেকে তরুণ হওয়ার যাত্রাপথে স্বপ্ন দেখেছিলেন সাহিত্যিক হওয়ার। ছাত্রজীবনে সান্নিধ্য পেয়েছিলেন বিখ্যাত ভাষাবিদ ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সত্যেন সেন ও রণেশ দাশগুপ্তের অনুপ্রেরণায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আসা।
শতাধিক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার এবং তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পরেও আক্ষেপ ছিল জীবনের সেরা অভিনয়টি করা হয়নি তার। তাই আশা ছিল সুস্থ হয়ে আবার ফিরবেন অভিনয় জগতে। অভিনয় করবেন মনের মতো চরিত্রে। তবে মৃত্যুর কাছে মলিন হলো সেই স্বপ্ন।
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে এটিএম শামসুজ্জামান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর কিছুটা সুস্থ অনুভব করলে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলেন অসাধারণ গুণী এই অভিনেতা। তার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো সংস্কৃতি অঙ্গনের।
জাক/ফই
Leave a Reply