মাঙ্কিপক্স বেশ পুরোনো। কিন্তু নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে আশঙ্কা তৈরী করছে। এবার কঙ্গোতে বেশী মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ায়। এমপক্স ছড়ানোর উদ্বেগে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহামারি রুপ ধারনের সম্ভাবনা কম মাঙ্কিপক্সের।
মাঙ্কিপক্স প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কে। এরপর থেকেই মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় বরাবরই হয়ে থাকে মাঙ্কিপক্স। এবার কঙ্গোতে ব্যাপক আকারে সংক্রমিত হয়েছে মানুষ। কঙ্গোয় এমপক্সের সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাবে অন্তত ৪৫০ জন মারা গেছেন।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল ইসিডিসি জানিয়েছে, আফ্রিকা থেকে ইউরোপে এমপক্সের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। ইতিমধ্যে সুইডেনে সংক্রমন হয়েছে। এশিয়ায় পাকিস্তানে পাওয়া গেছে।
রোগটির লক্ষণ হচ্ছে, শরীরে ফুসকুরি, তারপর ক্ষত ও সেই সাথে জর হয়। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী এবং যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি আছে তারা বেশী আক্রান্ত হন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম। কেননা, সোয়াইন ফ্লু ও করোনা ছিল মূলত বায়ুবাহিত ভাইরাস। ফলে এসব ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়েছিল। এমপক্স ছড়ায় ত্বক থেকে ত্বকের সংস্পশে। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির খুব ঘনিষ্ঠ কাছাকাছি না গেলে বা তার জনিসিপত্র সরাসরি ব্যবহার না করলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই।
বিজ্ঞানীরাও বলছেন, এমপক্সের সংক্রমণ ঘটেছে এমন অঞ্চলে ভ্রমণ না করলে এটা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সীমিত।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১৮ আগস্ট, ইন্টার হেলথ রেগুলেশন কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় হটলাইন চালু, চিকিৎসকদের জন্য গাইডলাইন প্রণয়ন, জনসচেতনতামূলক পোস্টার-লিফিলেট বিলি, প্রতি সপ্তাহে ওয়েবিনারের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যালোচনার। পাশাপাশি দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এছাড়াও জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে এমপক্সের টিকা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য। তাই এখনই টিকা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাছাড়া স্মল পক্সের টিকা এমপক্সের ক্ষেত্রে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর।