১৪/০৬/২০২৫, ১৮:০৪ অপরাহ্ণ
34.6 C
Dhaka
১৪/০৬/২০২৫, ১৮:০৪ অপরাহ্ণ

ধরা-ছোয়ার বাইরে এমারেল্ড ওয়েল হোতারা: নিলামে যাচ্ছে সম্পত্তি

এমারেল্ড অয়েল শেয়ার নিয়ে কারসাজি করা ব্যাক্তিরা রয়েছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এতে খোদ বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। বিএসইসির সহযোগিতায় মিনোরি বাংলাদেশ নামের কোম্পানির বিনিয়োগ, উৎপাদন চালুকে কেন্দ্র করে নামে বাড়ানো হয় শেয়ার দর। এতে হাজার কোটি টাকার ফায়দা লুটে কারসাজি চক্র।

ধরা-ছোয়ার বাইরে এমারেল্ড ওয়েল হোতারা: নিলামে যাচ্ছে সম্পত্তি
ধরা-ছোয়ার বাইরে এমারেল্ড ওয়েল হোতারা

এদিকে ঋণ আদায়ের জন্য একাধিক প্রচেষ্টার পর রাষ্ট্রায়ত্ত ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বেসিক ব্যাংক লিমিটেড আবারও কোম্পানিটির সম্পদ, জমি এবং যন্ত্রপাতি নিলামে তুলছে।

এর আগে এমারেল্ড অয়েলের সম্পদ কমপক্ষে তিনবার নিলামের জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু দরপত্রে ব্যাংকের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি।

বেসিক ব্যাংক এখন নতুন করে নিলামের চেষ্টা করছে। ঋণ আদায় করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি এমারেল্ড ওয়েলের সম্পত্তি জব্দ এবং বিক্রি করার জন্য গত বছরের ৩০ জুলাই মানি লোন কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৩ এর ধারা ৩৩(৫) এর অধীনে অনুমোদন পেয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি জারি করা একটি নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যার সময়সীমা ২৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিলাম বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বেসিক ব্যাংক ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ পর্যন্ত ৯১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বকেয়া দাবি করেছে। উপযুক্ত দরদাতারা এগিয়ে এলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক যন্ত্রপাতি সহ মোট ৫৪১ শতাংশ জমি নিলামে বিক্রি করা হবে।

বেসিক ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, আদালতের আদেশে কোম্পানির সম্পদ পূর্বে নিলামে তোলা হয়েছিল। কিন্তু কাংখিত দাম না পাওয়ায় তা অবিক্রিত রয়ে গেছে। নতুন নিলাম বিজ্ঞপ্তিটি কোম্পানিটিকে দেওয়া ঋণ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ। ঋণ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ঋণ আদালত সম্পত্তি জব্দ এবং বিক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে।

এদিকে এমারেল্ড অয়েলের শেরপুর এবং জামালপুরে তাদের জমি এবং কারখানা বন্ধক রেখে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিল। ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে ঋণদাতা ২০১৭ সালে অর্থ ঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে।

বেসিক ব্যাংকের নথি অনুসারে, মামলায় বিবাদীদের মধ্যে কোম্পানির প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসিবুল গণি গালিব, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৈয়দ মনোয়ারুল ইসলাম, প্রাক্তন পরিচালক সজন কুমার বসাক এবং অমিতাভ ভৌমিক এবং লিয়াকত আলী এবং সৈয়দ মাহবুবুল গণি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংক জানিয়েছে, বন্ধকী জমি ও যন্ত্রপাতি নিলাম করা হবে এবং এমারেল্ড অয়েলের পরিচালক এবং অন্যান্যদের শেয়ার ইতিমধ্যেই জব্দ করা হয়েছে।

শুধু বেসিক ব্যাংক নয়, এর অন্যান্য ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং মাইডাস ফাইন্যান্সও তাদের ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য এমারেল্ড অয়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

এমারেল্ড অয়েলের আর্থিক বিবরণী অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ঋণ ছিল ১৩০ কোটি টাকা। যার মধ্যে ব্যাংক এশিয়ার ২৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা, প্রাইম ফাইন্যান্সের ৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং মাইডাস ফাইন্যান্সের ২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা রয়েছে।

এদিকে রোববার ডিএসইর লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ০২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট পতন হয়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে।

এদিন মোট ৪১৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।  লেনদেন হওয়া ৪০৯ টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৮ টির, কমেছে ১৯৬ টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৭৫ টি কোম্পানির বাজারদর।

দেখুন: শেয়ার বাজারে চার কৌশলে আইসিবির কারসাজি

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন