১৬/০৫/২০২৫, ২২:৩৮ অপরাহ্ণ
27.2 C
Dhaka
১৬/০৫/২০২৫, ২২:৩৮ অপরাহ্ণ

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন, তবে তারা এজাহারভুক্ত আসামি নয়। ২১ এপ্রিল ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে ১৯ এপ্রিল বিকেলে, যখন পারভেজ দুই ছাত্রীর উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তিনজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্ক করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মীমাংসা করতে বসে, তবে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসার পর একদল যুবক পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় পারভেজকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর পারভেজের ভাই হুমায়ূন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রসহ মোট আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, এবং মাহাথির হাসান নামক ছাত্রদের নাম আছে। পুলিশ এ ঘটনায় আরও অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করেছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন আল কামাল শেখ, আলভী হোসেন জুনায়েদ, এবং আল আমিন সানি, যাদের সিসিটিভি ফুটেজে হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিতি দেখা গেছে। পুলিশ জানায়, তাদের মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে আসামিদের ডাকা হয়েছিল। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল সারোয়ার জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

জাহিদুল ইসলাম পারভেজের হত্যাকাণ্ডটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত এক অনাকাঙ্ক্ষিত সহিংস ঘটনার ফলস্বরূপ। পারভেজ, যিনি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। তবে দুই ছাত্রীর সঙ্গে হাসাহাসি করার কারণে তাকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

এদিকে, পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তায় গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চালানো হবে। আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এর দাবি জানানো হয়েছে এবং তারা হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি করছেন।

পড়ুন: প্রাইম এশিয়ার শিক্ষার্থী হত্যা নিয়ে ছাত্রদল অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

দেখুন: আ.লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না: প্রধানমন্ত্রী

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন