রাষ্ট্রীয় সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় বসেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সোমবার বিকেল চারটায় বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংলাপের উদ্বোধন করেন কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগেই একে একে প্রবেশ করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ প্রায় ২৫টির মতো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন আলোচনায়। মূলধারার পাশাপাশি বিকল্প ধারার রাজনৈতিক শক্তির অংশগ্রহণও ছিলো বৈঠকে।
প্রায় তিন ঘণ্টার সংলাপ শেষে বেরিয়ে এসে নেতারা জানান তাদের অবস্থান ও দাবি।
বিএনপি জানায়, তারা সবসময় সংস্কার আলোচনায় অংশ নিচ্ছে। অনেক বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে বলেও জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, হয়তো সব বিষয়ে একমত হতে পারব না, এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে জাতীয় স্বার্থে আমাদের প্রস্তাব থাকবে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব এবং এর আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কারও বাস্তবায়নযোগ্য। সংবিধান সংশোধন ছাড়া বাকিগুলো অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নযোগ্য বলেও মত দেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল বলেছে, প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে চায় একটি সমান সুযোগ নিশ্চিত করা নির্বাচনী পরিবেশ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানায়, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের আগেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না। সংলাপ থেকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান দলে পক্ষে নাহিদ ইসলাম।
গণঅধিকার পরিষদ আহ্বান জানায়, জুলাইয়ের সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসায় যথাযথ মনোযোগ দিতে হবে। সেই সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি তোলে তারা।
বেশিরভাগ দলই চায়, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে ঘোষণা হোক। আলোচনায় উঠে এসেছে সংবিধান সংস্কার, বিচার বিভাগের কাঠামো, নির্বাচন পদ্ধতি এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির প্রসঙ্গ।
পড়ুন: সারা দেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি
দেখুন: চট্টগ্রাম থেকে শুরু হচ্ছে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ |
ইম/