17 C
Dhaka
শনিবার, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫

কথা রাখলেন না গোপালি মনিরুল, পালিয়েছেন বিদেশে!

গেল পাঁচ আগস্ট, শেখ হাসিনা সরকার পরিবর্তনের পর একে একে দেশ ছাড়েন প্রভাবশালী এমপি- মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। এই তালিকায় আছেন, পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারাও ।

তবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশ ছেড়ে না পালানোর অঙ্গিকার করেন কেউ কেউ । সেই তালিকায় ছিলেন, পুলিশের বিশেষ শাখার সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম ।

১৮ সেপ্টেম্বর বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলকে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন ,আমি পালিয়ে যায়নি। পালাবও না। আমি দেশেই ছিলাম, দেশেই আছি। ভবিষ্যতেও দেশেই থাকব।

তবে শেষ পর্যন্ত তিনি কথা রাখেননি। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অবস্থান করছেন। তবে কীভাবে সেখানে গিয়েছেন, সেটি স্পষ্ট না করলেও দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিভিন্ন সূত্র ।

গতকাল বিকালে ভারতের রাজধানী দিল্লির কানঘট প্লেসের একটি গ্রোসারি শপে তাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার সময় ক্যামেরাবন্দি অবস্থায় দেখা যায় ।

মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ১২টির বেশি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদ্য সাবেক প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।

অভিযোগ রয়েছে, জুলাই আন্দোলন দমনে ব্যয় করার জন্য গত ৩ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা নিয়ে নিজের কক্ষে রেখেছিলেন মনিরুল। কিন্তু সেই টাকা বিতরণ করার আগেই ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতন হয়।

ওইদিন থেকে আর অফিসে যাননি মনিরুল। কিন্তু তার কক্ষে ২৫ কোটি টাকা থাকার তথ্যটি এসবির কয়েকজন কর্মকর্তা জানতেন। পরে সেই টাকা এসবির কয়েকজন কর্মকর্তা নিজেদের কাছে নিয়ে নেন।

তবে ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য ২৫ কোটি টাকা আনার বিষয়টি অস্বীকার করেন এ কর্মকর্তা। তিনি দাবি করেছিলেন, টাকা আনার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এসবি তো অপারেশনাল ফোর্স না। এসবি হলো ইনটেলিজেন্স ফোর্স, ফাইটিং ফোর্স না। সুতরাং এমন টাকা আনার প্রশ্নই ওঠে না। পুরো বিষয়টি ভুয়া।

২০২১ সালের ১৪ মার্চ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান থেকে এসবিপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মনিরুল ইসলামকে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন