34 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫

“ছোট ভাই কবর জিয়ারত করতে গিয়ে দেখে বাবার লাশ নেই, আরেক‌টি কবর খোঁড়া”

কু‌ষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় একটি কবরস্থান থেকে দু্ইটি লাশ চুরির ঘটনা ঘটছে। সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর-নুরপুর কবরস্থান থেকে লাশগুলো চুরির ঘটনা ঘটে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ও‌সি) মো. সোলাইমান শেখ এ তথ্য নি‌শ্চিত ক‌রেছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়া‌রি) ভোরে ফজরের নামাজ শেষে কবর জিয়ারত করতে গেলে দাফনকৃত এক প‌রিবা‌রের লোকজ‌নের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সেখানে দাফনকৃতদের স্বজন ও এলাকাবাসী কবরস্থানে ছুটে আসে।

সরেজমিনে গিয়ে পাহাড়পুর-নুরপুর দুইটি কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। দুইটি একই ইউনিয়নের নগর সাঁওতা বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তার বিশ্বা‌সের স্ত্রী শাহারা খাতুনের ও একই গ্রা‌মের তপন বিশ্বা‌সের ছে‌লে রাতুল বিশ্বাসের। ত‌বে লাশ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে লাশ দু‌টি চুরি হয়েছে।

শাহারা খাতু‌নের বড় ছে‌লে মনজুরুল হক বলেন, ‘আমার মা ২০২৩ সা‌লের ২১ জুন বার্ধক্যজনিত কার‌ণে মারা যান। মারা যাওয়ার পরে পাহাড়পুর-নুরপুর কবর স্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

তিনি একজন গৃ‌হিণী‌ ছি‌লেন। ৪০ দিন আগে আমার বাবাও মারা গে‌ছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর থে‌কে প‌রিবা‌রের লোকজন নিয়‌মিত কবর জিয়ারত ক‌রেন। আজ ভোরে ছোটভাই রইসুল হক জিয়ারত কর‌তে গি‌য়ে দেখ‌তে পাইস্থান থেকে বাবার লাশ চুরি হয়েছে।

তাৎক্ষণিক আমরা এখানে ছুটে এসে দেখতে পাই বাবা ও রাতু‌লের খোঁড়া। একটু দু‌রে ভুট্টা খে‌তে দু‌টো হাড় প‌ড়ে থাক‌তে দেখা গেছে।’ তার পা‌শেই এক‌টি প‌লি‌থি‌নে টাওজারও পা‌নির বোতল ছিল।

রাতু‌লের মা সো‌নিয়া খাতুন ব‌লেন, রাতুল প্রতিবন্ধী ছিল। দুই বছর আগে রাতুল মারা যায়। তখন তার বয়স‌ ছিল ১৪ বছর। সকা‌লে লোকজ‌নের কাছ থে‌কে শুনতে পে‌রে ছু‌টে আসি। এসে দে‌খি আমার‌ ছে‌লের লাশ নেই।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ও‌সি) মো. সোলাইমান শেখ ব‌লেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। যাদের লাশ চুরি হয়েছে, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পড়ুন: লিবিয়ায় আরও দুই থেকে ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার

দেখুন: ঘোড়ায় চড়ে প্রায় তিন হাজার খুঁড়েছেন মনু মিয়া |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন