31 C
Dhaka
সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন

দেশবরেণ্য কবি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রবীণ সদস্য হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। ১৩ ডিসেম্বর তিনি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি আইয়ুব ভূঁইয়া।

জানা গেছে, ১৩ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে রাজধানীর শাহবাগের সুপার হোস্টেলের বাথরুমে দরজা খুলে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় তাঁকে। পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর রক্তপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বেলা আড়াইটার দিকে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়।

হেলাল হাফিজ ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা খোরশেদ আলী তালুকদার পেশায় ছিলেন স্কুলশিক্ষক আর মা কোকিলা বেগম গৃহিণী।

অনেকটা বোহেমিয়ান জীবন কাটালেও হেলাল হাফিজ সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।

কাব্যগ্রন্থ

তাঁর লেখালেখির সূচনা ষাটের দশকের উত্তাল সময়ে। তবে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয় দেশ স্বাধীন হওয়ারও অনেক পরে, ১৯৮৬ সালে।

২৬ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। ২০১৯ সালে প্রকাশ পায় আরেকটি কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।

‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’-উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় তার রচিত কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র এ পঙক্তি দুটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমন, তেমনি এখনও প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে।

উল্লেখ্য, কবিতায় অসামান্য অবদানের স্মারক হিসেবে হেলাল হাফিজকে ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি পেয়েছেন- যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৬), আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), নেত্রকোনা সাহিত্য পরিষদের খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কার ও সম্মাননা।

দেখুন: অভাবের তাড়নায় চলন্ত বাসে হকারি করেন কবি | Nagorik TV Special

দেখুন: কবি সুকান্তের নামে বইমেলা, বইয়ের স্টল মাত্র একটি | Nagorik TV

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন