কয়েকটি জেলায় আবারো বিক্ষোভ করেছে কোটা আন্দোলনকারীরা। তবে, ফরিদপুর ও যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে, সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এদিকে, দেশজুড়ে চলছে পুলিশের চিরুনি অভিযান। গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার আরও অনেকে।
সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীদের একাংশ। কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকার দাবি মেনে নিলেও, তাদের ৯ দফা দাবি আদায়ে এই কর্মসূচি বলে জানায় তারা।
ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন, গণগ্রেফতার, মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হাতে কালো পতাকা নিয়ে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।
এদিকে, সাম্প্রতিক নাশকতার ঘটনায় গত ২৪ ঘন্টায় গাজীপুরে ৪৪ জনসহ মোট ৪০৬ জন, নারায়ণগঞ্জে ৫১ জনসহ ৫৬৩ জন ও ময়মনসিংহে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ফরিদপুরে সকল কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষনা দেয় আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমান সিকদার। আন্দোলনে অপ্রত্যাশিত মৃত্যু, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করার তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, মাদারীপুরে ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনা পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-আলম চৌধুরী লিটন। জামাত-বিএনপি মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার জন্য, দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গোয়েন্দা নজরদারি আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়, গণভবন, সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।