
করোনা টিকার বুস্টার ডোজের বিশেষ ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে তেমন সাড়া মেলেনি। কেন্দ্রগুলোতে মানুষ এসেছে কম। কর্তৃপক্ষ বলছে, ছুটির কারণে অনেকে ঢাকা ছাড়ায় টিকাগ্রহীতার উপস্থিতি কম।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভ্যাক্সিন কার্যক্রমের বিশেষ ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেয় সরকার। লক্ষ্যমাত্রা সারাদেশে ৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। বিশেষ করে জোর দেয়া হয় বুস্টার ডোজে। তাই ৪০ বছর থেকে কমিয়ে বুস্টার ডোজের জন্য বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৮ বছর। পাশাপাশি, এখন থেকে ২য় ডোজ দেয়ার চার মাস পার হলেই নেয়া যাবে বুস্টার।
কিন্তু ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে তেমন সাড়ে মেলেনি। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, যেখানে বুস্টার ডোজ নেয়ার জন্য প্রথম দিনে এক হাজার মানুষকে এসএমএস পাঠানো হয়। হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, “এই হাসপাতালে বুস্টার ডোজের জন্য অপেক্ষমাণ আছে ৫২ হাজার মানুষ। তাদের পর্যায়ক্রমে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। আজকের বিশেষ ক্যাম্পেইনের জন্য ১০০০ মানুষকে কাল রাতে এসএমএস পাঠানো হয়ছে। কিন্তু প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি। কারণ ৩ দিনের ছুটির কারণে হয়তো অনেকে শহর ত্যাগ করেছেন। এছাড়া অনেকের কাছে তথ্যটি পৌঁছেনি। বুস্টার ডোজের কার্যক্রম যেহেতু ছুটির দিনেও চলবে, তাই আগামীতে যারা বুস্টার নেননি তারা টিকা নেবেন।
তিনি আরও বলেন, “টিকা কার্যক্রম আজ থেকে চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ১ম, ২য় ডোজ ও বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। গণটিকায় যারা গেলো মাসের ২৬, ২৭ ও ২৮ তারিখে ১ম ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের চলতি মাসের ২৬, ২৭ ও ২৮ তারিখে ২য় ডোজ টিকা দেয়া হবে। এজন্য নতুন করে ৩৩টি বুথ চালু করা হবে।
যারা টিকাকেন্দ্রে এসেছেন, তারা ঝামেলা ছাড়াই নিয়েছেন টিকা। এই বিশেষ ক্যাম্পইনের আওতায় টিকা দেয়া হবে ছুটির দিনেও। বুস্টারের পাশাপাশি চলমান থাকবে ১ম ও ২য় ডোজের কার্যক্রম।
