21 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩

কী হবে ২৮ অক্টোবর?

বিশেষ সংবাদ

Shakhawat Hossain
Shakhawat Hossainhttps://nagorik.com
Shakhawat Hossain is a Bangladeshi Journalist currently serving at Nagorik Television as a News Editor.
- Advertisement -

কী হবে ২৮ অক্টোবর? কিংবা তারপর? দেশ কি আবারও কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে? দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি সমাবেশ ঘিরে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে জনমনে। বিএনপি’র দোষারোপের তীর আওয়ামী লীগের দিকেই। আর ক্ষমতাসীন দলও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, যে কোনো পরিস্থিতি মাঠেই মোকাবেলা করার। দুই দলের এমন আচরণের মধ্যে সাধারণ মানুষের চাওয়া একটাই, তা হচ্ছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ।

সরকারের পদত্যাগের একা দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে চূড়ান্ত আন্দোলনের কথা বলছে দলটি। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। সেই মুহূর্তে এই মহাসমাবেশ থেকেই বিএনপি ঢাকায় লাগাতার অবস্থান নেওয়া বা অবরোধের মতো কর্মসূচি দিতে পারে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলটির নেতাকর্মীদের গতিবিধি ও তৎপরতা পর্যবেক্ষণে রেখেছে সরকার ও আওয়ামী লীগ।

সরকার ও আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, এক দফা আন্দোলন নিয়ে বিএনপি আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এ কারণেই একের পর এক আল্টিমেটাম দিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনকে যেভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে দলটির, তাদের সেই শক্তি-সামর্থ্য নেই। তবে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত অতীতের মতো সহিংসতা, সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করতে পারে বলে সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের আশঙ্কা রয়েছে।

এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও দলের নেতাকর্মীরা কঠোর অবস্থানে থাকবে। পাশাপাশি বিএনপির গতিবিধি কি হবে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির কোনো পরিকল্পনা আছে কি না সে দিকেও লক্ষ্য রাখছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কারও দিক থেকে সন্দেহজনক কোনো তৎপরতার  তথ্য পাওয়া পেলে তার বিরুদ্ধেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে বলে সূত্রগুলো জানায়।

এদিকে সরকারের ও আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও ইতোমধ্যেই ২৮ আন্দোলন সম্পর্কে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও রাজপথে অবস্থান নেবে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে রাস্তায় নামতেই দেওয়া হবে না।

গত ১৯ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলন করছে ঠিক আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে মানুষের জানমালের ক্ষতি করলে, অগ্নিসন্ত্রাস করলে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সে ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে আমি তাদের বলে দিয়েছি।

এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জনের ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত দলটি নির্বাচনে আসবে বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই মনে করেন। তাদের মতে, বিএনপি আন্দোলনকে যেভাবে সফল করার চিন্তা করছে, তারা সেটা করতে পারবে না। সরকারের বিরুদ্ধে যতই আল্টিমেটাম দেওয়া হোক, এই আন্দোলন শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হবে। শুধু তাই নয়, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি শেষ মুহূর্তে নির্বাচনেও আসতে পারে বলে তারা জানান।

২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি কথা বলছেন- আইনশৃংখলাবাহিনী, ব্যাবসায়ী এমনকি বিদেশি কুটনৈতিকিরাও। ‘পদত্যাগ না করলে পালানোর পথ পাবে না সরকার: মির্জা ফখরুল’। ‘২৮ অক্টোবর ঢাকায় এসে নেতা–কর্মীদের বসে পড়তে বলা হয়নি: মির্জা ফখরুল’ । ‘২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি হবে ১০ ডিসেম্বরের মতো: ওবায়দুল কাদের’ । ‘বিএনপির সরকার পতনযাত্রা বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাবে: তথ্যমন্ত্রী’ । ‘পূজার পর রাজনৈতিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হব ‘ আশা পিটার হাসের’ । ‘২৮ অক্টোবর নাশকতার আশঙ্কা নেই’: ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান।

এ সব কথা থেকে আমরা কি ধারনা নিতে পারি। ২৮ অক্টোবর বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে আবারও তাঁর শক্তির প্রমাণ দিতে চায়। দেশ-বিদেশের মানুষকে জানাতে চান তাদের পাশে জনগণ আছে। আর যেহেতু সামনে মাসের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল তাই তাদের হাতে আর সময়ও নেই। এখ দেখার অপেক্ষা তারা নতুন কী ঘোষাণা দেন। সমাবেশ কতটা সফল হয়।   

তবে আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ও সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণাকে বেশে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির তৎপরতা ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখছেন তারা। যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি রাখছে সংশ্লিষ্টরা।

তবে বিএনপির প্রতি আমার প্রশ্ন:
গতবাছরের ১০ ডিসেম্বার ঢাকা দখলের ঘোষণা দিয়েছিলো বিএনপি। এবারও কী সেরকম পরিকল্পলনা আছে আপনাদের?

রাজপথে এসব কর্মসূচী সাধারণ মানুষ চরম ভোগিন্ততে পড়েন। সাধারণ মানুষ খুব বিরক্ত। তাদের কী জবাব দেবেন?

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আছে  দুই মাসের কিছু বেশি? ভোটের জন্য আপনাদের প্রস্তুত হতে দেখা যাচ্ছে না। তা হলে আপনারা কি যথা সময়ে নির্বাচন চানানা ? যদি চান ভোটের প্রস্তুতি কতটুকু আছে আপনাদের?

আমরা জেনেছি বিদিশিরা একটা বিষয়ে ধারনা দিয়ে গেছেন নিজেদেরই সংলাপ ও সমঝোতা করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতে আপনারা কী সংলাপে বসতে চান?

সাখাওয়াত হোসেন, গণমাধ্যমকর্মী।

- Advertisement -
- Advertisement -

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বাধিক পঠিত