18 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫

কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ দেখিয়ে ট্রাম্পের ছবি পোস্ট

কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ দেখিয়ে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘটনায় কানাডার সদ্য পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্র নয়’ পৃথক মানচিত্র প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি মানচিত্র শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওহ কানাডা!’ সেখানে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাকে একক দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। রাজ্য সীমানা মুছে ফেলা হয়েছে এবং নতুন এই সত্ত্বায় ‘ইউনাইটেড স্টেটস’ লেখা ছিল।

এর আগে অর্থনৈতিক চাপের মাধ্যমে একাধিকবার কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

এরআগে গত মঙ্গলবার ক্যাপিটল হিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর ফ্লোরিডায় নিজের বাড়িতে প্রেস কনফারেন্সে কানাডার ব্যাপারে আলোচনা করেন। সেখানে তিনি বলেন, কৃত্রিম সীমান্ত থেকে মুক্তি নিন। এরপর দেখুন বিষয়টি দেখতে কেমন লাগে। বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বেশ ভালো হবে।

তিনি আরও বলেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র এক হবে। কানাডার সামরিক ব্যয় নিয়ে বলেন, তাদের সেনাবাহিনী খুবই ছোট। তারা আমাদের সেনাদের ওপর নির্ভরশীল। সব ঠিক আছে। কিন্তু আপনার জানেন, তাদের এজন্য অর্থ দিতে হয়। এটি খুবই অযৌক্তিক।

ট্রাম্পকে তখন এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডাকে একীভূত করতে তিনি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, না, অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করব।

এদিকে ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডা কখনও যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা একে অপরকে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তা সহযোগী। এতে দুই দেশের কর্মী ও সমাজ উপকৃত হচ্ছে। কানাডা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না।

এদিকে সোমবার অটোয়ায় নিজ বাসভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলন করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো।

দেখুন: ভয়ে ঘুম হারাম বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন