কানাডার রাজনীতিতে নবাগত মার্ক কার্নি নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শপথ নিয়েই কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অংশ না হওয়ার অঙ্গীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন। এই অর্থনীতিবিদ ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার কয়েকদিন পর শুক্রবার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। এর মধ্যে তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে।
শপথের আনুষ্ঠানিকতা সেরে তিনি বলেছেন, “আমরা জানি, একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা নিজেদের জন্য অনেক কিছু অর্জন করতে পারি, যা কেউ আমাদের থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।”
গত সপ্তাহে লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে বড় জয় পাওয়ার পর কার্নি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হিসেবে কানাডার যোগ দেওয়া উচিত বলে ট্রাম্পের করা মন্তব্যের জবাবে কার্নি শুক্রবার বলেন, “আমরা কখনোই কোনো অবয়ব বা রূপেই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হব না।

`কানাডা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না’
“খুব মৌলিকভাবেই আমরা একটি ভিন্ন দেশ।”
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী পরে ট্রাম্পের ওই ধারণাকে ‘পাগলামি’ বলে বর্ণনা করেন।
আগামী অক্টোবরে কানাডার পরবর্তী ফেডারেল নির্বাচন হওয়ার সময় ঠিক করা রয়েছে। ভোটের সময় সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি কার্নি। তবে এ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্নি তার প্রথম আদেশে কার্বন কর নীতির অবসান ঘটিয়েছেন, যে নীতি নিয়ে বিরোধীরা ঘন ঘন আক্রমণ করে আসছিলেন।
ট্রুডোর পরিবেশগত এই নীতি উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুবই অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
এই করের সমালোচনা করে কনজারভেটিভরা বলেন, এটির কারণে কানাডার পরিবারগুলোকে পণ্য ও জ্বালানিতে বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে।
বিকালে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে কার্নি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তার সরকার এখনও পদক্ষেপ নেবে। বিপুল পরিমাণ কার্বন নিঃসরণকারীদের উপর শিল্প কার্বন কর বহাল রয়েছে।