যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিবেশী ও একসময়ের ‘বন্ধু’ কানাডার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এমন প্রেক্ষাপটে কানাডার জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশটির ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ও অংশগ্রহণ। আগাম ভোটেই মিলেছে নজরকাড়া সাড়া।
কানাডার নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যমতে, শুক্রবার আগাম ভোটের প্রথম দিনেই ২০ লাখের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন—যা ২০২১ সালের চেয়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ বেশি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ এপ্রিল। তবে আগাম ভোটের সুযোগ থাকছে সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত।
বড় বড় শহরের ভোটকেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইনের দৃশ্য। কোথাও কোথাও ভোটারদের দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগাম ভোটদান যেন রীতিমতো গণজোয়ারে রূপ নিয়েছে।
মন্ট্রিয়ালের একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে ৬০ বছর বয়সী মানবসম্পদ কর্মকর্তা জোসি ফুরনিয়ে বলেন, “এবারের নির্বাচনটা বিশেষ, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে যা ঘটছে, তার সরাসরি প্রভাব কানাডাতেও পড়ছে। সীমান্তের ওপারের চাপ মাথায় রেখেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।”
৩৫ বছর বয়সী রাফায়েল কোলম্ব নামের এক তরুণ ভোটার বলেন, “আমি সব খবর ও প্রার্থীদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করেছি। আমার চাওয়া—অর্থনীতি যেন ভালো করে, এবং নাগরিকদের জীবনে যেন কিছুটা হলেও শান্তি ফিরে আসে।”
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর কানাডার ওপর একের পর এক শুল্ক আরোপ করেছেন এবং সার্বভৌমত্ব খর্বের হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় অনেক ভোটার এমন নেতা বেছে নিতে চান, যিনি ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ মোকাবিলা করে কানাডার স্বার্থ রক্ষা করতে পারবেন।
সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, লিবারেল পার্টি, যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ব্যাংকার ও বর্তমান নেতা মার্ক কার্নি, প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পলিয়েভরের জনপ্রিয়তা ৩৮ শতাংশ। বামঘরানার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি ৮ শতাংশ এবং কুইবেকপন্থি ব্লক পেয়েছে প্রায় ৫ শতাংশ সমর্থন।
পড়ুন: কানাডার নির্বাচনে ভারতের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ
দেখুন: এক লটারি জিতেই ৩৮৪ কোটি টাকার মালিক!
ইম/