24.9 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

কালুখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাজবাড়ীর কালুখালীতে নিজ ঘর থেকে জলি আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুর ১০টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির শোবার ঘর থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত গৃহবধু জলি আক্তার কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো. জহুরুল ইসলামের স্ত্রী। তার সংসারে তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

জলি আক্তারের শ্বাশুড়ি ঝর্না বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে সিঙ্গাপুর থাকেন, ছেলের বউ জলির সাথে আমাদের কারো কোন ঝগড়া-বিবাদ হয়নি। শনিবার সন্ধ্যার দিকে জলি সেমাই রান্না করলে, সেই সেমাই আমরা একসাথে মুড়ি দিয়ে খাই। রাতে আমি তারাবির নামাজ পড়ার পর জলি আমার মোবাইলে সেহরিতে ওঠার জন্য অ্যালার্ম দিয়ে চলে যান এবং তখন বলে যান তার পেটে নাকি খুব ব্যাথা করছে, সেই জন্য সে রাতে রোজা থাকবে না। যে কারনে তাকে সেহরিতে যেন না ডাকা হয়। সে এটাও বলেন, সেহরিতে আমি যেন আমার মতো করে উঠে রাইস কুকারে ভাত রান্না করে খাই। তখন তার ঘরে গিয়ে সে দরজা বন্ধ করে তিন বছরের মেয়েকে সাথে নিয়ে শুয়ে পড়েন। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সে দরজা না খুললে আমি দরজার সামনে গিয়ে তাকে অনেক ডাকাডাকি করতে থাকি। কিন্তু তার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে আমি জানালা খুলি।তখন জানালা খুলে দেখি জলি ফ্যানের সাথে ঝুলছে। সাথে সাথে আমি চিৎকার দিলে আশে পাশের প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে থানায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান নাগরিক টিভিকে বলেন, ‘ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত লাশটি দেখতে পেয়ে থানায় পুলিশকে খবর দেন তবে লাশটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ওই গৃহবধূ গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রতিবেদন শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’ থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পড়ুন : ঈদকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরে নৌপুলিশের ১৪টি টিমের তল্লাশী শুরু

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন