আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দেশের সব হাসপাতালের বহির্বিভাগে (আউটডোর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। এ ছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য সেবাও সীমিত পরিসরে চালু থাকবে। পাশাপাশি সব হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মুখপাত্র নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন (রেসিডেন্ট) আবদুল আহাদ এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন এবং সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ইমার্জেন্সি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
ডা. আবদুল আহাদ বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও দেশদ্রোহীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে এই হামলা চালাচ্ছে। তাই আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি। যদি দ্রুত দেশের সব হাসপাতালে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা না হয় তবে ষড়যন্ত্রকারীদের আঘাত আবারও আসতে পারে।’
দাবি নিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমাদের দুটি দাবি রয়েছে। এক, দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আর দ্বিতীয়টি হলো, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ও স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগ করতে হবে।’
কর্মসূচি নিয়ে ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা থেকে সারা দেশে জরুরি বিভাগের সেবা চালু রেখেছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে সীমিত পরিসরে আউটডোর সেবা চালু থাকবে। সকাল ৮টা ১০টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। সকাল ১০টা থেকে থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আউটডোর সেবা চালু থাকবে।’