ভারত-শাসিত কাশ্মীরে পৃথক দুই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দেশটির সেনাবাহিনীর ২ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৬ জুলাই) জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে।
কাশ্মীরের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কুলগামের দুটি গ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় অভিজাত প্যারা-কমান্ডোর এক সদস্যসহ দুই সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদীও নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কুলগামের মোদেরগাম গ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপস্থিতির বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই গ্রামের একটি বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার সাথে সাথে সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে আহত হওয়া এক সৈন্য কাশ্মিরের সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এছাড়া কুলগাম জেলার ফ্রিসাল চিন্নিগাম এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর আরেকটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ধারণকৃত ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, ওই এলাকার একটি বাড়িতে অন্তত চারজনের মরদেহ পড়ে আছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে এই চার বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে কাশ্মীর পুলিশ।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের মহাপরিদর্শক আরআর সোয়াইন বলেন, বিশাল সংখ্যক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরস্ত্র করার এই ঘটনা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বড় অর্জন। তিনি বলেন, ‘সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায় এটি নিঃসন্দেহে মাইলফলক। এসব সাফল্য যথেষ্ট অর্থবহ।’
প্রসঙ্গত, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে পাকিস্তান। ১৯৮৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরে ভারত-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ওই অঞ্চলে অসংখ্যবার সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দশকের পর দশক ধরে চলে আসা এই সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানিও হয়েছে।