কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ভাঙচুর-লুটপাট করা হয় বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘরে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় উভয় পক্ষের ১৬ জনকে।
রবিবার বিকেল ৫টা থেকে থেমে থেমে রাত ১০টা পর্যন্ত ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের পশ্চিম পাড়া ও পাগলা বাড়ির মধ্যে চলে এই সংঘর্ষ। আহতরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচচ্ছেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভৈরব সার্কেল) মো. নাজমুস সাকিব স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, গত ২৩ জুলাই দুপুরে চন্ডিবের পাগলা বাড়ির পাপনের সাথে পশ্চিম পাড়ার এক রিক্সা চালককে বাকবিতণ্ডার পর অটোরিক্সাটি আটকিয়ে রাখে। পরে পশ্চিম পাড়ার মিন্টু মিয়া ও খোকন মিয়াসহ স্থানীয়রা অটোরিক্সাটি ফিরিয়ে আনলেও বিষয়টি অমিমাংশিত থেকে যায়। পরবর্তীতে ২৬ জুলাই একই বিষয়কে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওইদিন উভয় পক্ষের ১৫ জন আহতসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ দরবার সালিশ করে দু’পক্ষকে আর্থিক জরিমানা করে। এই ক্ষোভে শনিবার (২৩ আগষ্ট) দুপুরে পশ্চিম পাড়ার লোকজন বিয়ের একটি অনুষ্ঠানে জন্য কমিউনিটি সেন্টারে চলে গেলে পাগলা বাড়ির লোকজন হঠাৎ তাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এর জেরে গতকাল ঘোষণা দিয়ে ইট-পাটকেল, ককটেল, দা-বল্লম, লাঠিসোঁটা নিয়ে বিকেল থেকে রাত দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আটক করা হয়েছে ১৬ জনকে। মামলার প্রস্তুতিসহ সকল আইনি বিঘষ প্রক্রিয়াধীন।
পড়ুন: বরগুনার পাথরঘাটায় এক হাজার মানুষ পেলেন বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা
দেখুন: শতকোটি টাকার মালিক সাংবাদিক হ ত্যাকারী বাবু চেয়ারম্যান
ইম/

