চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ থেকে ফেরার পথে প্রবাসী যুবককে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাং নেতা মো. রিশানের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হাই। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল ইসলামের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাতে কিশোর গ্যাং লিডার মো. রিশানকে গ্রেপ্তার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মো. রিশানের বিরুদ্ধে ককটেলবাজি, লুটপাট ও হত্যাচেষ্টাসহ ৪টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তার রিশান ইসলামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের ছেলে। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে সেনাবাহিনীর চাকরি হারান এই রিশান। চাকরিচ্যুত হওয়ার পর এলাকায় ফিরে গ্যাং কালচার শুরু করেন।
তার বাবাও এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই আব্দুল হাই জানান, গোপন তথ্যে বুধবার রাতে শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং লিডার মো. রিশানকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানী শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে শহরের মীরের খৈলান এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদের সমাবেশে যান প্রবাসী যুবক ইসরাইল হক কিনু। ফেরার পথে আওয়ামী লীগ নেতা জিয়া মেম্বারের নির্দেশে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কিনুর ওপর হামলা করে। এই কিশোর গ্যাং নেতা রিশান তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে রক্তাত্ব জখম করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। আহতের ভাই মো. তুফানী বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানকে। অন্য আসামিরা হলেন- জিয়া মেম্বারের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার মো. রিশান, গোলাব আলী, মো. দুরুল, মো. জেনারুল, মো. বাশির, সুমন আলী, মো. আমিন, কুরবান আলী, আনারুল ইসলাম, মো. মিজান, মো. মেহেদী, মো. মাইনুল ও মো. রিহাজ। আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ নেতা জিয়া গ্রুপের লোক।
পড়ুন: সাদাপাথরে লুটপাট: ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আটক
দেখুন: সীমান্ত নিরাপত্তায় আকাশপথের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে’ |
ইম/

