২১/০৫/২০২৫, ১৭:২৯ অপরাহ্ণ
34 C
Dhaka
২১/০৫/২০২৫, ১৭:২৯ অপরাহ্ণ

কিহাক সাংকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হলো

আশির দশকে এ দেশের পোশাকশিল্পের যাত্রার শুরুতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রথম বিদেশি বিনিয়োগকারী দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে আজ বুধবার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব (অনারারি সিটিজেনশিপ) দিয়েছে বাংলাদেশ।

৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশের শিল্প খাতের বিকাশ ও বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান, বৈদেশিক আয়ে অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

কিহাক সাংকে বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদানের এই ভাবনাটি কীভাবে এসেছে, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আজ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কিহাক সাংকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদানের ধারণাটি নিয়ে প্রথম আলোচনা হয় মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে চীনের হাইনানে।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও কোরিয়ার নাগরিক বান কি মুন বিওএও ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, সাং- যিনি এই দেশকে হৃদয়ে ধারণ করেছেন এবং কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশকে আপন করে তুলেছেন, তাকে সম্মানিত করার কোনো পরিকল্পনা বাংলাদেশের আছে কিনা?

প্রধান উপদেষ্টা অবিলম্বে উপস্থিত কর্মকর্তাদের সাংকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন।

আজাদ মজুমদার লিখেছেন, আজ আমরা আবেগাপ্লুত সাংকে তার হৃদয়ের কথা বলতে দেখেছি, তিনি বিশ্বাস করতেন যে, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব একদিন না একদিন পাবেন এবং সেটি এসেছে তার প্রত্যাশার পাঁচ বছর আগেই।

সাং বাংলাদেশের জন্য যা করেছেন খুব কম বিদেশি বিনিয়োগকারীই তা করেন। তিনি যে শুধু চট্টগ্রাম কেইপিজেডে ৭২ হাজার বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তা-ই নয়, বরং তার ইয়াংওয়ান করপোরেশনের সমস্ত উপার্জন এখানে পুনঃবিনিয়োগ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আরও লিখেছেন, সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পাওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি কাজী নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, ফাদার মারিনো রিগন এবং গর্ডন গ্রিনিজের মতো নির্বাচিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দলে যোগ দিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ যাদের নিজেদের লোক বলে মনে করে।

অভিনন্দন কিহাক। আপনি এখন সত্যিই আমাদের!

পড়ুন : বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন