১০/১১/২০২৫, ৮:১২ পূর্বাহ্ণ
25 C
Dhaka
১০/১১/২০২৫, ৮:১২ পূর্বাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

কুকুর-বিড়াল পুষতে পকেট ফাঁকা

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাপী পোষা প্রাণীর অর্থনীতি (কুকুর-বিড়াল) ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোভিড মহামারির সময় পোষা প্রাণী দত্তক নেওয়ার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে আরও বেশি মানুষ তাদের প্রিয় পোষা প্রাণীদের জন্য ব্যয়বহুল খাবার ও খেলনা কিনছে। তবে এই নিয়মিত খরচের বাইরেও, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মালিক তাদের পোষা প্রাণীদের জটিল অসুস্থতার চিকিৎসা এবং দীর্ঘায়ু করতে হাজার হাজার ডলার ব্যয় করছেন।

সম্প্রতি ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, বিশেষ করে, নতুন ডায়াগনস্টিক সরঞ্জাম এবং ওষুধ কীভাবে পোষা প্রাণীদের আয়ুষ্কাল বাড়াচ্ছে—এবং একই সঙ্গে মালিকদের পকেট ফাঁকা করে দিচ্ছে।

কুকুর-বিড়াল পুষতে পকেট ফাঁকা

পোষা প্রাণীর অর্থনীতি: ব্যয় ও প্রবণতা

পোষা প্রাণীর প্রতি মানুষের ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৩০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ২০৭০ সালের মধ্যে এটি ৫০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

পোষা প্রাণীর পেছনে ব্যয় কত?

•        যুক্তরাষ্ট্রে একটি কুকুরের জন্য বছরে গড়ে ১ হাজার ৫০০ এবং একটি বিড়ালের জন্য প্রায় ১ হাজার ডলার খরচ হয়।

•        অনেক মালিক তাদের প্রাণীর স্বাস্থ্য ও খাবারের পেছনে প্রচুর ব্যয় করেন, বিশেষ করে উন্নত চিকিৎসা ও প্রেসক্রিপশন ডায়েটের জন্য।

•        জরুরি চিকিৎসা ব্যয়ও ব্যাপকভাবে বেড়েছে; কুকুর বা বিড়ালের হৃৎপিণ্ডের চিকিৎসা, এমআরআই বা অন্যান্য উন্নত চিকিৎসার খরচ হাজার হাজার ডলার পর্যন্ত গড়াতে পারে।

•        পোষা প্রাণীর জন্য বিমা এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ শতাংশ পোষা প্রাণীর বিমা করা হয়েছে।

চিকিৎসা ও নতুন ট্রেন্ড

•        উন্নত ভেটেরিনারি পরিষেবা: এখন কুকুর ও বিড়ালের জন্য এমআরআই, ইকোকার্ডিওগ্রাম, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট এবং ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের ওষুধ সহজলভ্য হচ্ছে।

•        নতুন ধরনের ব্যয়: অনেকেই ডগি প্রোজাক (বিষণ্নতার চিকিৎসায়), প্রশিক্ষণ, ডে–কেয়ার ইত্যাদিতে প্রচুর ব্যয় করছেন। এমনকি কসমেটিক সার্জারি (যেমন: নাকের ছিদ্র বড় করা বা নিউটিক্যালস–কৃত্রিম শুক্রাশয় প্রতিস্থাপন) জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ব্যয় কেন বাড়ছে?

•        পোষা প্রাণী পরিবারের অংশ: এখন মানুষ পোষা প্রাণীদের পরিবারের সদস্য হিসেবে দেখে এবং তাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেকোনো ব্যয় করতে রাজি।

•        মহামারির সময় মালিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি: ৫০ লাখেরও বেশি নতুন পোষা প্রাণী যুক্তরাষ্ট্রে দত্তক নেওয়া হয়েছে। ফলে এই বাজার আরও বড় হয়েছে।

•        তরুণদের ব্যয়: জেন জি এবং মিলেনিয়ালরা সংসার শুরু করার আগে তাদের পোষা প্রাণীদের জন্য বেশি ব্যয় করছে।

পোষা প্রাণী রাখা নাকি ফিরিয়ে দেওয়া?

মহামারির সময় নেওয়া কিছু পোষা প্রাণী এখন মানুষ ফেরত দিচ্ছে, তবে এটি ২০১৯ সালের তুলনায় কম। বেশির ভাগ মালিক তাদের প্রাণীকে রেখে দেওয়ার জন্য যেকোনো ব্যয় করতে রাজি।

ভবিষ্যৎ কী?

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পোষা প্রাণীর পেছনে ব্যয় কমবে না, বরং আরও বাড়বে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা, উন্নত খাবার ও নতুন পরিষেবার জন্য বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে। যদিও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কিছু লোক ব্যয় কমাতে পারে, তবে পোষা প্রাণীদের জন্য ব্যয়ের মন্দা খুব একটা প্রভাব ফেলে না।

দেখুন: শুরুতেই কি হোচট খেলো ছাত্রদের নতুন দল?

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন