কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে সিমেন্টবাহী একটি লরির চাপায় একই পরিবারের চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত ইউটার্নটি আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা যৌথভাবে পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্ন পরিদর্শন করেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউটার্ন থেকে সব ধরনের যানবাহন ঘুরে আসবে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত।
স্থানীয়রা জানান, হোটেল নূরজাহান থেকে খাবার খেয়ে বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা প্রায়শই উল্টো পথে এসে ইউটার্ন ব্যবহার করেন, যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে পদুয়ার বাজার এলাকায় অন্তত ১৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, এতে ২০ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান বলেন, পদুয়ার বাজারে ইউলুপ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে কাজের ২৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে কাজ শেষ হলে ঝুঁকিপূর্ণ ইউটার্ন ব্যবহার না করেই যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে, যা দুর্ঘটনা কমাবে।
ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনিসুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুরে লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারে চাপা দেয়, এতে একই পরিবারের চারজন নিহত হন। মামলায় নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে হানিফ পরিবহন ও লরির অজ্ঞাত চালকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সদর দক্ষিণ থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আছেন ওমর আলী (৬৫), তার স্ত্রী নূরজাহান বেগম, বড় ছেলে আবুল হাসেম ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম মামুন। নিহতদের মরদেহ শুক্রবার রাত ১১টায় বরুড়ার হোসেনপুর বেপারী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে হোসেনপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এলাকাবাসী শোক প্রকাশ করেন।
ছবিঃ সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা যৌথভাবে পদুয়ার বাজার ইউটার্ন পরিদর্শন শেষে তা বন্ধ ঘোষণা করেন।
পড়ুন : কুমিল্লায় প্রাইভেটকারের ওপর কাভার্ডভ্যান পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহত


