২৩/০৫/২০২৫, ২০:৫০ অপরাহ্ণ
28 C
Dhaka
২৩/০৫/২০২৫, ২০:৫০ অপরাহ্ণ

কুমিল্লায় নিখোঁজের একদিন পর পুকুরে মিললো দুই শিশুর লাশ

কুমিল্লার লাকসামে নিখোঁজের একদিন পর বাড়ির পাশের একটি মাছের ঘের থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ছয়টায় পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুনতি গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই দুই শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনেরা। পরিবারের পক্ষ থেকে শিশু দুই জন পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশিদ।


নিহত দুই শিশু হলো- গুনতি গ্রামের পূর্বপাড়ার রুবেল হোসেনের ছেলে জিহাদ হোসেন (৭) গুনতি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র এবং মো. মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাব্বির হোসেন মহিন (১০), সে গুনতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।


পুলিশ ও নিহত শিশুদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগেরদিন সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকেই তারা নিখোঁজ হয়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পরও বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি, ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের কোনো সন্ধান মিলেনি। অবশেষে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশের একটি মাছের ঘেরে এক শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে আশেপাশের লোকজনকে খবর দেন ঘেরের লোকজন। পরে শিশুদের স্বজন ও এলাকার লোকজন এসে ওই পুকুর থেকে দুই শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন।


নিহত জিহাদের মা জান্নাতুল ফেরদৌর জানান, মঙ্গলবার সকালেও ছেলেটাকে বাড়ির পাশে খেলতে দেখে আমি বাড়ি ফিরতে বলি। সে আসে নাই। এরপর দুপুরের দিকে মহিনের মা এসে মহিনকে খোঁজে। না পেয়ে পরে আমরাও খোঁজাখুঁজি শুরু করে তাদেরকে পাই নাই। আজ সকালে শুনি মহিন আর আমার ছেলের লাশ পানিতে পরে আছে।


নিহত জিহাদের বাবা রুবেল হোসেন জানান, তারা কিভাবে মারা গেছে কেউ জানে না। গতকাল খেলাতে গিয়ে তারা দুই জন ফিরে আসে নি।


লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশিদ জানান, পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশগুলো দাফনের জন্য পরিবার ব্যবস্থা গ্রহন করছে। শিশুদের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন প্রাথমিক ভাবে দেখা যায় নি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।

পড়ুন: কুমিল্লায় বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ জন

দেখুন: কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন