০৮/০৭/২০২৫, ২১:০৬ অপরাহ্ণ
26.1 C
Dhaka
০৮/০৭/২০২৫, ২১:০৬ অপরাহ্ণ

কুষ্টিয়ায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাপের কামড়ে নারীসহ তিনজনের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাপের কামড়ে নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজনেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। এদের মধ্যে একজন বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার এবং বাকি দুইজনকে গোখরা সাপ কামড় দেয়। তাদের বাড়ি দৌলতপুর,কুমারখালী ও মিরপুর উপজেলায়।

চিকিৎসক ও নিহতদের পরিবার সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি প্রয়োজনীয়এন্টিভেনম মজুদ রয়েছে। চিকিৎসক বলছেন,ওঝার কাছে সময় নষ্ট করে হাসপাতালে আসতে দেরি করার কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা বেশি । তবে সময়ের সাথে জীবন বাঁচাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলােতে এন্টিভেনম নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনেরা।

এদিকে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনায় জেলাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ আজ শনিবার জেলার মিরপুর উপজেলার গাদা থেকে খড় নামাতে গিয়ে সাপের কামড়ে জহিনা বেগম(৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ভােরে পোড়াদহ ইউনিয়নের তেঘড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জহিনা বেগম একই গ্রামের আব্দুল মালিথার স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভোরে ধান সিদ্ধ করার জন্য বাড়ির আঙিনায় রাখা গাদা থেকে খড় নামাতে যায় জহিনা। এ সময় তার ডান হাতে গোখরা সাপে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক তিনি বাড়ির সদস্যদের বিষয়টি জানান। এ সময় পারিবারের লোকজন সাপটিকে মেরে ফেলে। জহিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত ২৮ মে সকাল ১০টার দিকে নিজ কলা বাগানে পরিচর্যার কাজ কর‌ছি‌লেন কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চরজগন্নাথপুর গ্রা‌মের করিম প্রামা‌ণি‌কের ছেলে কৃষক কামরুজ্জামান(৫০)। এসময় ’রাসেল ভাইপার’ সাপ কামড় দিলে সাপটি মেরে বস্তায় বন্দি করে সা‌থে নিয়ে হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি হন তি‌নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। একইদিন ভোর ৪টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গবর গাড়া গ্রা‌মের মৃত. নাহারুল ইসলামের ছেলে কালু‌(৩৫) বাড়ির পাশের বাগানে আম কুড়ানোর সময় গোখরা সাপ কামড় দেয়। পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে রাসেলস ভাইপার এবং গোখরা প্রজাতির সাপে কাটা রোগী বেশি হাসপাতালে আসে। সাপগুলো বিষাক্ত হলেও জীবন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় এন্টিভেনম আমাদের হাসপাতালে মজুদ রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাপে কাটা রোগীরা ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করেন। তারা যদি দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তাহলে জীবন বঁাচানো সম্ভব। এর জন্য আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, প্রত্যেকটি উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটা রোগীদের জন্য এন্টিভেনম মজুদ রয়েছে। সময় নষ্ট না করে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে।

পড়ুন : কুষ্টিয়ায় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে দুজনের মৃত্যু

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন