কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সাহেবনগর এলাকায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ৭২৮ মিটার ও জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তিনটি টাওয়ার নদীগর্ভে গেছে। নদীতীরবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়েছে ভাঙন আতঙ্ক।
মিরপুর উপজেলার কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্ত্বা পদ্মা। মহাসড়ক আর নদীর ঠিক মাঝখানে অবস্থান, উপজেলার মুন্সিপাড়া, সাহেবনগর, মির্জানগর ও রানাখড়িয়ার। ফলে এসব এলাকায় গত ৫ বছরে অন্তত ১ হাজার ১৮৮ একর ফসলি জমি বিলীন হয়েছে পদ্মায়।
চলতি মৌসুমেও প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে ভাঙন। এরইমধ্যে ১৮৬ মিটার ফসলি জমি গেছে নদীগর্ভে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বড় অংশও বিলীন হয়েছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তিনটি টাওয়ারও ভেঙে পড়েছে।
স্রোতের তোড়ে ভাঙা বেড়িবাঁধের পাশে গ্রামাঞ্চলে জায়গাজমি ভেঙে যাচ্ছে। সাহেবনগর, মির্জানগর ও রানাখড়িয়া এলাকা রয়েছে বেশি ঝুঁকিতে।
পদ্মায় পানি কমার সঙ্গে ভাঙনও তীব্র হচ্ছে। সংকট সমাধানে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ও টিউব ফেলে প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তবে, সাময়িক সমাধানের পেছনে সময় ক্ষেপন না করে, ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি ভুক্তভোগীদের।