29.5 C
Dhaka
বুধবার, মার্চ ২৬, ২০২৫

কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীর ভোটে নেতা নির্বাচন করছে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল

কুষ্টিয়াতেই প্রথম শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমে সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১২ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে সরকারি কলেজ মুক্তমঞ্চে এই ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
কাউন্সিলে সভাপতি পদে জামির আহম্মেদ মসনদ,নয়ন আলী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শিমুল হাসান,সজীব আলী ও সামি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়ে ও ছেলে শিক্ষার্থীরা আলাদা বুথে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪৬২ জন।

কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীর ভোটে নেতা নির্বাচন করছে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল
কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীর ভোটে নেতা নির্বাচন করছে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল


কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিন নিশাতের সঞ্চালনায় কাউন্সিলের সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বি। এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল,যুগ্ন সম্পাদক রাজীব আহম্মেদ ও মোকছেদুল মোমিন মিথুন উপস্থিত ছিলেন।


এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন,৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি ইতিবাচক রাজনীতির শুভ সূচনা হয়েছে। গত সাড়ে ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ছিল। আমরা চাইলেও কাউন্সিল করতে পারি নাই,পছন্দ মতো পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারিনি। তিনি বলেন, খুনী হাসিনা সরকারের দোসররা প্রত্যেকটি ক্যাম্পাসে নিকৃষ্টতম মাফিয়া তন্ত্র কায়েম করেছিল। তার বিপরীতে এখন একটি ভালো সময় উপনীত হয়েছে। আমরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে চাই। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদলের ৩৮টি সাংগঠনিক টিম প্রথম পর্বের কাজ শেষ করে দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু করেছে। যেটি গত দুইদিন ধরে সারাদেশে চলছে। এই পর্বে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে প্রথম।


বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ভোট নিয়ে উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। মুক্তমঞ্চের সামনে স্বতস্ফুর্তভাবে লাইনে দাড়িয়ে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাদের ভোটার নম্বর খুঁজে পেতে সহযোগিতা করছে প্রার্থীদের প্রতিনিধিরা। সবাই নতুন ভোটার এবং প্রথমবার ভোটাধিকার প্রদানের স্বাদ পাওয়ায় বেশ আনন্দিত ছিল।
কথা হলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীরা বলেন,লাইফের প্রথম ভোট এটা। এর আগে কখনো ভোট দেইনি। তারা বলেন,আগে দেখছি নেতার পেছনে একজন দৌড়াদোড়ি করছে তখন সে পদ পেয়ে যাচ্ছে। এবার আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করছি।


সন্মান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম বলেন,২৩ বছর বয়স হলেও কোথাও ভোট দিতে পারি নাই। জাতীয় নির্বাচনে তো ভোট দেওয়ার চান্সি নাই। কারণ স্বৈরাচার হাসিনার জন্য ভোট দিতে পারি নাই। কেন্দ্রে গেলে ভোট হয়ে গেছে কিংবা সামনে ভোট দিতে হবে বলে। তাই নিজের মতো করে ভোট দেওয়ার অপশন পাইনি। আমার নিজের কলেজে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছি এটা আমার কাছে ভালো লাগছে।


কাউন্সিলরের সভাপতি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বি বলেন,শেখ হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে বিগত ১৭ বছর বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে প্রশাসনের কাঁধে পা রেখে ক্ষমতায় টিকে ছিল। বাংলাদেশের নতুন জেনারেশন,যাদের জন্ম ২০০০ সালের পরে তারা কখনো ভোট দিতে পারে নাই। বাংলাদেশের মানুষের অনুভুতির জায়গা ভোটাধিকার। সারা বাংলাদেশের ক্যাম্পাসে নির্বাচনের মাধ্যমে সঠিক নেততৃ¦ নির্বাচন করে আমরা তাদের দেখাতে চাচ্ছি যে ছাত্রদল গঠতন্ত্র ও সঠিক নির্বাচনে বিশ^াস করে।


নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড.হাসিবুর শহীদ বলেন,অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দিপনা আছে। যারা প্রার্থী আছে তারা এখানকার নিয়মিত ছাত্র।


কাউন্সিল শেষে বিকেল ৪টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ,সদস্য সচিব জাকির হোসেন সরকার সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ফলাফলে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষভোটে ২৩৯ ভোট পেয়ে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয় জামির আহম্মেদ মসনদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নয়ন পেয়েছেন ১১৯ ভোট। এছাড়া ১৫৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শিমুল হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সজীব পেয়েছেন ১০৫ ভোট।

পড়ুন: জবিতে বোরকা পরে সনদ তুলতে এসেও রক্ষা পেল না ছাত্রলীগ কর্মী, আটক করলো শিক্ষার্থীরা

দেখুন: জনসমুদ্রে কক্সবাজারে জামায়াতের জনসভা

পড়ুন: তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন ভাঙলেন

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন