২০/০৬/২০২৫, ৯:২১ পূর্বাহ্ণ
31.3 C
Dhaka
২০/০৬/২০২৫, ৯:২১ পূর্বাহ্ণ

কৃষি অফিসেই কৃষি কর্মকর্তার বিলাসী জীবন!

সরকারি অফিসেই পরিবার পরিজন নিয়েই বেশ আরাম আয়েসে জিবন কাটাচ্ছেন তিনি। ভবনের ৩ তলাতেই পুরোটাই যেন তার দখলে। এছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জন্য বেডরুমে রয়েছে দেড় টনের একটি এয়ারকন্ডিশনার(এসি)র সুব্যাবস্থা। দিতে হয় না বিদ্যুৎ বিল থেকে শুরু করে পানির বিল বাসা ভাড়াসহ নানা খরচ। সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কৃষি অফিসারের কার্যালয় ও কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৩ তলায় দীর্ঘ দেড় বছর পরিবার নিয়ে বসবাস করছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা ইসলাম। এ নিয়ে উপজেলায় সমালোচনা ও নানা চাপা বিরাজ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখ যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের তিন তলায় উঠতে অফিসের একজন কর্মচারীর বাধা। বললেন উপরে ম্যাডাম ও তার পরিবার নিয়ে থাকেন ভাই আপনি ২য় তলায় বসুন ম্যাডাম বাহিরে গেছেন। উপরে ম্যাডামের ডাক্টার স্বামী ও তার মা’ দুই সন্তান আছেন। পরে খোজ নিয়ে আরোও জানা যায়, উপজেলার কৃষি অফিসের জন্য আলাদা করে ৩ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনে প্রায় দেড় বছরের কাছাকাছি সময় ধরে স্বামী,মা,ছেলে সন্তান নিয়েই তিনি বসবাস করছেন। সরকারি অফিস না যেন নিজের বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন তিনি! উপরে ৩ থেকে ৪ রুম বিশিষ্ট একটি ফ্লাড। সেখানে সরকারি অফিস পরিচালনা না করে তিনি করছেন বসবাস। উপরের পশ্চিম পাশের রুমেই কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা ইসলাম দম্পতির বেডরুম। সেখানে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জন্য রয়েছে দেড় টনের একটি এয়ারকন্ডিশনার(এসি)র সুব্যাবস্থা। সরকারি কৃষি কর্মকর্তার সরকারি হেডকোয়ার্টারে থাকার বিধান থাকলেও অফিস কক্ষের মধ্যে বসবাস করছেন তিনি। তাতে বছরে তার ভাড়া কারেন্ট বিল পানি বিলসহ আনুমানিক ২৫-৩০ হাজার টাকা বেঁচে যায়। কিন্তু সরকারি ভাবে তিনি বাসা ভাড়াসহ সকল ভাতাই মাসে মাসে পাচ্ছে। সুধু তাই নয় ইতিপূর্বে সরকারের বরাদ্দকৃত গাড়ি ব্যবহার করে নিজ গ্রামের বাড়ি ও মাদারীপুর লেকের পাড়সহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ঘুরার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে নানা চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সে ২০১৫ সালে এ উপজেলাতে যোগদান করার পর পরিবার নিয়ে থাকতেন উপজেলার একটি কোয়ার্টারে। কিন্তু নতুন করে উপজেলার কৃষি অফিসারের কার্যালয় ও কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নির্মানের পর থেকেই তিনি সেখানে আটি গেঁড়ে বসেছেন!

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, এরকম কান্ডজ্ঞানহী কাজ একজন বিসিএস কর্মকর্তার কাছে জাতি কখনোই আশা করে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা ইসলাম বলেন, আমাদের ডিডি স্যার এডি স্যারদের মৌখিক অনুমতি নিয়েই আমি এখানে বসবাস করছি। আর ভাই মহিলা মানুষ এখানে ত কোন বাসা ভাড়া পাচ্ছি না। উপরের তৃতীয় তলায় হলো কৃষি অফিসারের রেস্ট রুম। তাই স্যারদের অনুমতি সাপেক্ষে আমি এখানে বসবাস করছি।

উপজেলা পরিষদ বাসা ভাড়া বরাদ্দ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, ভবনটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের তৈরি। তাই এনবিষয়ে জেলা কৃষি কর্মকর্কার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, ওই অফিসের তৃতীয় তলায় কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা ইসলামের থাকার বিষয়টি আমি জানি না। আমি অনুমতি দেই নি। যদি আমার আগে কোন অফিসার অনুমতি দিয়ে থেকে তাহলে হতে পারে। বিষয়টি আমি খোজ নিয়ে আপনাকে জানাবো।

পড়ুন: দুদিন ব্যাপী নেত্রকোনায় ছাত্রশিবিরের শিক্ষা কর্মশালা

দেখুন: গাজার শরণার্থী শিবিরে আবারও হামলা, নিহত অর্ধশত |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন