যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডের গোপন নথি প্রকাশ করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার প্রায় ৮০ হাজার পৃষ্ঠার এ গোপন নথি জনসমক্ষে প্রকাশ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। গত সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প, যিনি জানিয়েছেন, জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডকে নিয়ে প্রায় ছয় দশক ধরে জনগণ অপেক্ষা করছে, এবং নথিগুলো অত্যন্ত কৌতূহলোদ্দীপক হবে।
এছাড়া, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৬৩ সালের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ট্রাম্প চলতি বছর শুরুর দিকে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছিলেন, যেখানে তিনি তার ভাই রবার্ট এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করার নির্দেশ দেন। এ আদেশের পর, মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) জানায়, তারা হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত হাজার হাজার নতুন নথি পেয়েছে এবং সে অনুসারে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
এফবিআই জানিয়েছে, তারা প্রায় ২ হাজার ৪০০টি নতুন তালিকাভুক্ত এবং ডিজিটালাইজড নথি উদ্ধার করেছে, যেগুলো আগে কখনো জন এফ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। এমনকি এই নথির মধ্যে রয়েছে সেসময়ের কিছু অজানা তথ্য, যেগুলো হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে আরও প্রশ্ন তুলতে পারে।

১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে টেক্সাসের ডালাসে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি তত্ত্ব হল— সিআইএ কিংবা অন্যান্য সরকারী সংস্থা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। হত্যাকাণ্ডের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠলেও, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, ট্রাম্পের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ২০২৩ সালের এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, তাঁর চাচার হত্যাকাণ্ডে সিআইএ’র জড়িত থাকার ব্যাপারে ‘অকাট্য’ প্রমাণ রয়েছে।
এফবিআই ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অনুসন্ধান চললেও, কেনেডি হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে এখনও পর্যন্ত অনেক সন্দেহ এবং রহস্য রয়ে গেছে। ট্রাম্পের প্রকাশিত নথি হয়তো এই রহস্য উন্মোচনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করবে স্বাধীন তদন্ত কমিশন
দেখুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড : মৃত্যুদন্ড পাওয়া ছয় আসামি এখন কোথায়?
ইম/