জনগণের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রব্যবস্থার বাস্তব রুপ দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘের ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, অতীতের ভুল সংশোধন করে শক্তিশালী অর্থনীতি এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলেই প্রধান লক্ষ্য। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সহায়তা আসুক তবে সংস্কার যেন নিজেদের পরামর্শেই করা হয়।
সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কী ভাষন দেন ড. ইউনুস তা নিয়ে আগ্রহ ছিলো সবার। এর আগে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া দুটি ভাষণে তিনি যা বলেছিলেন, সেখানেও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, দেশ পুনর্গঠনে সংস্কার ও সংষ্কার প্রক্রিয়া তুলে ধরেছেন।
একই সঙ্গে সহায়তা চান, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সুশাসন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্রামেনর জন আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে তা বাস্তবায়নে।
ইউনুস জোর দেন মানবাধিকার, গুম খুন ও বিচারহীনতা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরির উপর সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার, যা কমিশন গঠন করে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, পররাষ্ট্রনীতিতে কী অগ্রাধিকার পাবে ও কী পাবে না। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের সমালোচনা করেন। উঠে এসেছে রোহিঙ্গা সংকট ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে তাঁর ভাবনা।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভাষণ হিসেবে সুন্দর সুচিন্তিত, যা জাতিসংঘের মতো মঞ্চে এমন বক্তৃতাই প্রত্যাশিত।
তবে সংস্কার প্রস্তাবে সহায়তার ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের কোন শর্ত আছে কিনা সেগুলোও যেন মাথায় রাখা হয়।
বিশ্লেষকদের অভিমত, অর্থনৈতিকি বিশৃঙ্খলা রোধ আর পাচারকৃত টাকা ফেরত আনায় দৃশ্যমান উদ্যেগে দেখতে চায় জনগণ। কারণ বক্তৃতায় সুন্দর কথা আগের সরকার প্রধানরাও দিয়েছেন।