বিপুল পরিমাণ দেনায় ধুকছে সিটিসেল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি বলছে, সিটিসেলের ব্যাংক দায় প্রায় ৩শ কোটি টাকা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা অর্থ আদায় করতে পারছে না। আর সিটিসেল বলছে, উদ্যোক্তারা ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রি করেও ঋণ নিয়মিত রাখার চেষ্টা করছে।
এসএমই ব্যাংক হিসেবে পরিচিত বেসরকারি খাতের ব্র্যাংকের ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় সিটিসেল। পরিমাণ বেশ বড়, ১৩২ কোটি টাকা। কাযক্রমে না থাকায়, কোন ব্যাংকই তার ঋণের অর্থ ফেরত পাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটির কাছে পাবে প্রায় ২৪ কোটি টাকা। সিটি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, যমুনা, প্রাই ব্যাংকেরও দায় রয়েছে। সিটিসেল বলছে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারী থেকে ব্যাংকের দায়দেনা নিয়ে তহবিল পায়নি এক টাকাও।
অবশ্য সিঙ্গাপুরের সিংটেল এখনো মালিকানায় রয়েছে ৪৫ শতাংশ। বিপুল এ দেনা নিয়ে সিটিসেল কাযক্রমে আসতে পারবে কিনা সে শঙ্কার কথা বলছেন ব্যাংকাররা। তবে, কর্তৃপক্ষ বলছে, উদ্যোক্তারা তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ বিক্রি করে, ব্যাংকের ঋণ রেখেছেন নিয়মিত।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকিং খাতে যে হাবুডুবু পরিস্থিতি, তাতে কোন গ্রাহককে আর ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। প্রয়োজনে সম্পদ বিক্রি, জব্দ করে ব্যাংকের টাকা ফেরত আনতে হবে।
লাইসেন্স ফেরত পেলে অবশ্য, নতুন বিনিয়োগকারী সঙ্গে নিতে চায় বিএনপি নেতা মোরশেদ খানের সিটিসেল। আর প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এনে সিডিএমএ থেকে জিএসএমে রূপান্তর হয়ে চালু করতে চায় সেবা।
টিএ/