বিচ্ছিন্ন সহিংসতার মধ্যদিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পালিত হয়েছে অর্ধদিবস হরতাল।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল হওয়ার কথা থাকলেও, পরে তা শিথিল করা হয়।
এদিকে, শুক্রবারের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ এক সাংবাদিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ডাকে, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে হয়েছে বিক্ষিপ্ত পিকেটিং। শুরুতে পূর্ণদিবস হরতাল ডাকলেও, ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার জন্য দুপুর ১২টার মধ্যে হরতাল কর্মসূচি শিথিল করা হয়।
হরতালের কারণে সকাল থেকে উপজেলা সদর বসুরহাট পৌরসভায় সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। কোম্পানীগঞ্জের সঙ্গে অন্যান্য জেলা ও উপজেলার যান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। তবে, পূর্ব ঘোষিত থানা ঘেরাও কর্মসূচি আগেই স্থগিত করা হয়।
এর আগে সকালে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা লাঠিসোঁটা হাতে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে। মিছিলটি বসুরহাট রুপালি চত্বর থেকে থানার দিকে যায়।
এ সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় কাদের মির্জার। একপর্যায়ে মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে, লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় মিছিলকারীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলেও, রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানান কাদের মির্জা।
পরে বসুরহাট বাজারের রূপালি চত্ত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন কাদের মির্জা। অভিযোগ করেন, পুলিশের হামলায় তার অন্তত ৩০ সমর্থক আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, হরতালের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে, কাদের মির্জার বহিষ্কার দাবিতে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।
সিমু/ফই
Leave a Reply