কুমিল্লায় বন্যা কবলিত বিভিন্ন উপজেলার পানি কমতে শুরু করায়, রুগ্ন চিত্র ফুটে উঠছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১৮ সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। ফলে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। যতই দিন যাচ্ছে, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার পানি কমতে শুরু করায়, পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে পিছু ছাড়েনি দুর্ভোগ। পানিবাহিত নানান রোগবালাই নিয়ে হাসপাতালে ছুটছে মানুষ। কিন্তু বন্যার আঘাতে রুগ্ন দশা স্বাস্থ্যসেবার।
পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার ১১৮টি সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। ফলে ব্যাহত হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, কুমিল্লার ১৪টি উপজেলায় ৯৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৬টি সাব-সেন্টার ও ১৭টি ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় কার্যক্রম চলছে।
পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
জেলার ১৪টি উপজেলায় বন্যা কবলিত হয়ে পানিবন্দী ১০ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। যাদের সেবায় নিয়োজিত আছে ২০৮টি মেডিকেল টিম। তবে চিকিৎসা সামগ্রির সংকটে বিপাকে তারা।