বেনজির আহমেদ কে দেশে ফেরানো আর মতিউর রহমান কে গ্রেপ্তার এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি দুদক। অনুসন্ধান চলাকালে গ্রেপ্তার ও বিদেশ যাত্রা ঠেকানোর ইখতিয়ার থাকলেও নিশ্চুপ সংস্থাটি। এই সুযোগে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন অভিযুক্তরা। দুদক আইনজীবী বলছেন, হয়রানি ঠেকাতে বাড়তি সর্তকতা।
দুর্নীতির অনুসন্ধান চলাকালীন কোন ব্যক্তির বিদেশ যাওয়া ঠেকানো এবং গ্রেপ্তার ক্ষমতা দেয়া আছে দুদককে। সংস্থাটির হাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এমন অস্ত্র তুলে দিলেও তার খুব একটা প্রয়োগ করতে দেখা যায় না।
অনুসন্ধান শুরুর আগেই সপরিবারে দেশ ছাড়েন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ। তার দেশে ফেরা এখন অনিশ্চিত। আলোচিত মতিউর রহমানও দিয়েছেন গা ডাকা। যদিও মতিউর ও তার সহধর্মিণীর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দুদক বলছে মতিউর ও বেনজিরের বিপুল পরিমান অপরাধলব্ধ আয়ের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে তারা। তাহলে কেন বেনজির কে দেশে ফেরাতে এবং মতিউর কে গ্রেফতারের পদক্ষেপ নিচ্ছে না দুদক।
অনুসন্ধান চলা কালে গ্রেফতারের বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের কথা স্বীকার করেন সংস্থাটির আইনজীবী। তিনি বলেন, এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়ার ইখতিয়ার কমিশনের।
দুদক আইনজীবী আরো বলেন, সর্তকতার কারণে অনেক সময় কারো কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
মঙ্গলবার বেনজির আহমেদ ও তার পরিবার কে ২১ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসেব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুদক। এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর ও তার পরিবারকে ও দেয়া হয়েছে একই সময়।