২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়, সাজু খাদেমসহ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয় নিয়ে এবার কথা বলেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিনি জানান, স্টেজ শোতে অংশ নিতে বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে মামলার বিষয়টি তার নজরে এসেছে।
জায়েদ খান বলেন, ‘যে মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে তা পুরোপুরি মিথ্যা মামলা। যার কোনা ভিত্তিই নাই। আমি একজন শিল্পী। বাংলাদেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকেও ভালোবাসি। হতে পারে আমি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলে বিশ্বাসী। এ জন্য তো যে কেউ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করতে পারে না।’
এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘অন্য সবার মতো আমারও মত-বিশ্বাসে ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে এটুকু বিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি—আমি কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, আর আগামীতেও থাকব না। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি, মানুষের উপকার করতে; সবার পাশে থাকতে। কখনো কারও ক্ষতি করিনি। একজন শিল্পী হিসেবে সবসময় ন্যায়ের কথা বলেছি। সেই আমাকেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে!’
জায়েদ খান বলেন, ‘ছাত্রদের নিয়ে দেশ সংস্কারের কাজ করছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমার বিশ্বাস, তিনি এসব ভিত্তিহীন মামলার বিষয়টি দেখবেন। আমার নামে তো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান মামলা করেনি। কে করেছে, তাকে আমি বা আমরা কেউ চিনি না। এমন অপরিচিত একজন মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে মামলা করে দেবেন আর অমনি তা সত্য হয়ে যাবে, এটা আশা করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢালাওভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সত্যিকারের অনেক অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে। আমাদের টেনে ধরার জন্য এই মামলা। আমি হলফ করে বলতে পারি, কোনো মিছিল–মিটিংয়ে কোনো দিন ছিলাম না। দেশের ক্ষতি হয়, রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো কাজ করিনি। সেগুলো যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমার নামে মামলা করতে পারেন। আমি ক্ষতি করে থাকলে তার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিলে স্বাধীনতার প্রতি আস্থা থাকবে না।’
জায়েদ খান ২০০৬ সালে ‘ভালবাসা ভালবাসা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এছাড়াও, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল জায়েদ খানের সিনেমা ‘সোনার চর’ মুক্তি পেয়েছে।