জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোটা ক্যাম্পাস। শিক্ষক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত দেড়শতাধিক।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। ছাত্রলীগের দুই দফা হামলা, অস্ত্রধারী বহিরাগতদের নিয়ে আসা, এবং এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাল্টা ধাওয়া ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা ক্যাম্পাস।
গত সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। সেখান থেকে শুরু হয় দফায় দফায় শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। আহত হয় অন্তত ৫০ জন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা হামলার প্রতিবাদে অবস্থান নেন ভিসির বাসভবনে।
রাতে ভিসির বাসভবনের ভেতরেই দা-লাঠি নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ। খবর ছড়িয়ে পরলে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে ভিসির বাসভবনে গেলে, পিছু হটে ছাত্রলীগ। এ সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়।
পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগ ও বহিরাগতরা ভিসির বাসভবনে ঢুকে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
আহতদের মধ্য অন্তত দুই শিক্ষকসহ ৬০ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এনাম মেডিকেলে। এর মধ্য ৪ সাংবাদিক ও ১ শিক্ষকসহ ৩০ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শিক্ষার্থীদের হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
রাতে ভিসির বাসভবন ও বেশকয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে। পোড়ানো হয়েছে একটি মোটরসাইকেল। গাছ ফেলে বন্ধ করা হয় সড়ক।