কেন্দ্র ঘোষিত মনোনয়নকে প্রত্যাখ্যান করে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মেহেরপুর-০২ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনকে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানায় উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
সোমবার (০৩ নভেম্বর) কেন্দ্র থেকে ঘোষিত মনোনয়নের পর থেকেই গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির সমর্থিত নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন। তারা মনোনয়ন পরিবর্তন করে জেলা বিএনপির সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টনকে প্রার্থী করার দাবি তোলেন। মঙ্গলবার( ৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টনের মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনেন তারা।
মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির নির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশের সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুরের দিকে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হওয়ার সময়ে নিকটবর্তী আমজাদ হোসেনের অফিস থেকে পাথর নিক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। এতে উভয়পক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বিক্ষোভ সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে দুপুর ১২টার দিকে শেষ হয়।
সমাবেশ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর ধানের শীষ প্রতীকের ঘোষিত প্রার্থী আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা ও পৌর বিএনপির অফিসে তালা ভেঙে অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেন উপজেলা বিএনপি নেতারা।
এই ঘটনার জন্য আমজাদ হোসেনকে দায়ী করে গাংনী উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু,পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এডাম সুমন, ইমন হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এনামুল হক, যুবনেতা গাফফার আলী প্রমুখ।
পড়ুন : মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপির দুপক্ষের হামলায় রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক


