১৯/০৭/২০২৫, ২:৫৪ পূর্বাহ্ণ
28 C
Dhaka
১৯/০৭/২০২৫, ২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর চলমান গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।


বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক গাজা ও তার আশপাশের এলাকায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলা ও গণহত্যার নিন্দা জানাচ্ছে।

অবিলম্বে ইসরাইলের সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ করার ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, তাদের উচিত অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যেন গাজার জনগণের জীবন রক্ষা করা যায় এবং মানবিক সহায়তা সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।

ফিলিস্তিনীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্ত বরাবর একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনরায় মিশরের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা শুরু করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাবনা এবং ফিলিস্তিনীদের শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়ের জন্য দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দুই রাষ্ট্রের সমাধান প্রতিষ্ঠার জন্য বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন এবং সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসও বন্ধ রাখা হয়।

গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার ৬৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন আহত হয়েছেন।

পড়ুন : গাজায় গণহত্যা : বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল রাজধানীসহ সারাদেশ

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন