ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক ভাবে বিমান হামলা শুরু করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েল রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, গাজার উপর হামলা চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত সব বন্দি মুক্তি না পায়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে এক ভিডিও বার্তায় ড্যানন এ কথা জানান। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের শত্রুদের প্রতি কোনো দয়া দেখাব না। ইসরায়েল তার শত্রুদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শিথিলতা দেখাবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সব জিম্মি বাড়ি ফিরে না আসে।”
ড্যানন আরও বলেন, “আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেব, যদি তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে চায়, তবে তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, জিম্মিরা ইসরায়েলে ফিরে আসছে। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গাজায় গত কয়েকদিনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে গাজার কেন্দ্রীয় শহর দেইর আল-বালাহ, গাজা সিটি, খান ইউনিস ও রাফাহ অঞ্চলে হামলা চালানো হয়। এ হামলায় আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বর্তমানে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে, এবং আহতের সংখ্যা অনেক বেশি। এই হামলা যুদ্ধবিরতির চুক্তির পর সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে এই হামলা পরিচালিত হয়েছে এবং হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধবিরতি বিষয়ে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় ইসরায়েল পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
গাজার উপর ইসরায়েলি হামলা, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে, আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর এটাই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা। ইসরায়েল দাবি করছে, হামাসের বিরুদ্ধে এই অভিযান প্রয়োজনীয় এবং নিরাপত্তার জন্য এটি অপরিহার্য।
বর্তমানে গাজায় শান্তির চেষ্টায় আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে, তবে এ ধরনের হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদ এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে ইসরায়েল তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, যুদ্ধ বন্ধের জন্য তারা প্রথমে গাজা থেকে তাদের জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চায়।
পড়ুন: ট্রাম্প গাজায় প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করেই গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল : হোয়াইট হাউস
দেখুন: গাজায় ছিল বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিযোগ্য সম্পদ |
ইম/